Bangla24x7 Desk : ৭০ হাজার অতীত ! মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় বিদ্যুতের ছাড় সহ দুর্গাপূজার আর্থিক অনুদান একলাফে ৮৫ হাজার ! অক্টোবরের ৯ তারিখ দেবীর বোধন, মহাষষ্ঠী। পুজোর প্রস্তুতি পুরোদমে শুরু করে দিয়েছেন পুজোর উদ্যোক্তারা। এই আবহে আজ পুজোর কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বিকাল ৪টে থেকে এই বৈঠক শুরু হয়। বিভিন্ন ক্লাব সংগঠনকে নিয়ে এই বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে রয়েছেন মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা, পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার।
প্রচুর পুজো হয়। দুর্গাপুজোর সংখ্যা বেড়েছে অনেক। বাংলায় প্রায় ৪৩ হাজারের বেশি দুর্গাপুজো ক্লাবগুলি করে। পুজো এবার আগে এসেছে। আগাম সিদ্ধান্ত নিলে অঘটন ঘটবে না। প্রশাসন সহায়তা করবে। ক্লাবগুলো বলব মহিলাদের ভলেন্টিয়ার্স করুন। ভাল কাজ করে। ছোট ছোট পড়ুয়াদের কাজে লাগান। ওরা চেষ্টা করেন অতিথিদের নিয়ে যাওয়ার। তবে অতিথিদের জন্য বিশেষ আয়োজন করা মানে সাধারণকে আটকে দেওয়া নয়। আমি ভিআইপি কার্ডের বিরুদ্ধে। যাঁরা ভিআইপি তাঁরা গাড়ি হাকিয়ে চলে যাবেন। আর সাধারণ মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়াবেন আমি পক্ষে নই। ভিআইপিরা চেষ্টা করব পিছনে থেকে সহায়তা করার। এত ভিড়ে ভিআইপি যাতায়াত করলে সাধারণ মানুষের যাতায়াতে অসুবিধা হয়। লক্ষ রাখতে হবে কোনও রকম পদপিষ্টের ঘটনা যাতে না ঘটে।
কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশের মধ্যে সম্বন্বয় রক্ষা করতে হবে। কোনও রকম ট্রাফিক মুভমেন্টে অসুবিধা না হয়। এখন জেলাগুলোও টক্কর দিচ্ছে। জেলার পুজো দেখতে গেলে ভাবতে হবে ওরা এত সুন্দর পুজো করছে। আমি ওই সময় কলকাতা পুজোর পাশাপাশি জেলার পুজোগুলি লক্ষ্য রাখি। এতে আমার জ্ঞান বাড়ে। বড় বড় ক্লাবের পুজোয় পুলিশকে নজর দিতে হবে। ক্লাবের ভলান্টিয়ার্সদের নজর রাখতে হবে। এখন মহালয়া থেকেই পুজোর উদ্বোধন শুরু হয়। মহালয়ার আগের দিন থেকেই উদ্বোধন শুরু করে দিই। মানুষজনও ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েন। প্রথম বছর ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছিল ক্লাবগুলিকে। করোনার পরে এক ধাক্কায় অনুদানের অঙ্ক ৫০ হাজার। ২০২২ ও ২০২৩ সালে ১০ হাজার টাকা করে বাড়ে অনুদান। গত বছর ক্লাবগুলি ৭০ হাজার টাকা করে অনুদান পায়। সেই সঙ্গে মেলে বিদ্যুৎ বিলে ৬৬.৬৬ শতাংশ ছাড়।