Bangla24x7 Desk : দিন দিন আলু সহ তেল এবং অন্যান্য সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চপের দাম দেখতে দেখতে দাঁড়িয়েছে ৬-১০। স্থান বিশেষে কোথাও ৬ টাকা, কোথাও আবার ১০ টাকায় বিক্রি হয় চপ। তবে অবিশ্বাস্য হলেও বীরভূমের এক প্রত্যন্ত গ্রামে এই চপ এখনো পাওয়া যায় মাত্র ১ টাকাতেই।

দুর্মূল্যের বাজারে কীভাবে সম্ভব ? করে দেখিয়েছেন দিলীপ বাবু। বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে যখন প্রতিনিয়ত বাড়ছে ভোজ্য তেল-সহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম সেই সময়ও মাত্র ১ টাকায় চপ বিক্রি করে নজির তৈরি করে চলছেন বীরভূমের তেলেভাজা বিক্রেতা দিলীপ দে। দিলীপ দে-র এই দোকানটি রয়েছে সিউড়ি দু’নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কোমা গ্রাম পঞ্চায়েতের কোমাগ্রামে ঠিক হাইস্কুলের সামনে। সস্তায় তার দোকানে চপ খাওয়ার জন্য প্রতিদিন ভিড় জমান এলাকার বাসিন্দারা।

দীলিপ বাবুর এই ভাবে মাত্র ১ টাকায় চপ বিক্রি করার মূলে রয়েছে আরও এক বড় কারণ। কারণ মায়ের ইচ্ছা, মায়ের ইচ্ছায় তাঁর অনুপ্রেরণা। দীলিপ বাবু জানিয়েছেন, তার মা’ই তাঁকে ১ টাকায় চপ বিক্রি করার নির্দেশ দেন। মানুষকে খাওয়াতে বলেন। সেই কথা মতোই তিনি এখনও এই ১ টাকাতেই চপ বিক্রি করে চলেছেন।

প্রতিদিন প্রায় ১০ কিলোর কাছাকাছি আলু দিয়ে তিনি চপ বানান এবং সেই চপ খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যায়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার দোকান থাকে। তার চপ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় বলেও দাবি করেছেন দিলীপ দে। দিলীপ দে-র এক টাকার এই চপ দামে সস্তা হলেও স্বাদে কিন্তু অতুলনীয়। অন্ততপক্ষে স্থানীয় বাসিন্দাদের এমনটাই দাবি।

গত ২০ বছরের বেশি সময় ধরে দিলীপ দে এই এক টাকাতেই চপ বিক্রি করেন বলে দাবি করেছেন। এমনকি আলু অথবা ভোজ্য তেলের দাম দাম আকাশছোঁয়া হলেও কিন্তু তার চপের দাম এক পয়সাও বাড়ে না। মাত্র এক টাকাতে চপ বিক্রি করেই তিনি বছরের পর বছর ধরে সংসার চালাচ্ছেন। চড়া বাজারে এত সস্তায় চপ বিক্রি করে খুব বেশি মুনাফার লাভ দেখতে না পেলেও তার মধ্যে কোন আফসোস নেই। দীলিপবাবু নিজেই জানিয়েছেন, লাভ করাটা লক্ষ্য নয়, লক্ষ্য হল মানুষকে খাওয়ানো।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *