Bangla24x7 Desk : ডেঙ্গুর মশার দংশনে মৃত্যু হল ১৫ বছরের এক কিশোরীর। হুগলির বৈদ্যবাটির কায়নাত পারভিন গত কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিল। বৈদ্যবাটি পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই কিশোরীকে শুক্রবার দুপুরে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে ভরতি করা হয়। রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই তার মৃত্যু হয়। শনিবার ৭৫৪৫ জনের ডেঙ্গু টেস্ট হয়েছে। ৯৪৫ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলেই খবর।
কিশোরীর মৃত্যুর পর পুরসভার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এলাকাবাসীরা। মৃতের মামা সঞ্জু হোসেন বলেন, ‘‘কয়েকদিন ধরেই ভাগ্নি জ্বরে ভুগছিল। ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ দেওয়া হচ্ছিল। রক্ত পরীক্ষাও করা হয়েছিল। আচমকা প্লেটলেট কমতে থাকায় শুক্রবার ভরতি করে দিয়েছিলাম। নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। বাঁচাতে পারলাম না মেয়েটাকে।’’
পুরসভার তথ্য বলছে, উত্তর কলকাতার বরো ১ থেকে বরো ৭ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা তূলনামূলক অনেক কম। মাত্র ১,৩৭১ জন। যা মোট আক্রান্তের ২২.৬ শতাংশ। এডিস ইজিপ্টাইয়ের বাড়বাড়ন্ত জোকা ও গার্ডেনরিচেও বেশ কম। কলকাতা পুরসভার বরো ১৫ থেকে বরো ১৬ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা তাই মোটে ৫৪ জন। মোট আক্রান্তের মাত্র ০.৯ শতাংশের বাস জোকা গার্ডেনরিচে। ডেপুটি মেয়র জানিয়েছেন, শহরে ডেঙ্গু ছাড়াও ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজারের বেশি মানুষ। ডেঙ্গু আক্রান্তের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই এবার নতুন স্ট্রেন ডেঙ্গু-থ্রিতে আক্রান্ত বলে দাবি পুরসভার।
স্বাস্থ্য দপ্তরের হিসেব অনুযায়ী , এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় পঞ্চান্ন হাজার। শুধু কলকাতাতেই মৃত্যু হয়েছে পঁচিশ জনের। পুরসভার মতে, বেহালা, নয়াবাদে নানা প্রান্তে একাধিক পরিত্যক্ত জমি। দেওয়াল ঘেরা সেসব জমিতে হাঁটু সমান ঘাস। ফেলে রাখা এসব জমিই এখন চিন্তা বাড়িয়েছে পুরসভার। ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত জমিতে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করতে পারে না পুরসভা। সেক্ষেত্রে খালি জমি ফেলে রাখার ক্ষেত্রে কড়া আইন চালু করতে হবে রাজ্য সরকারকে। প্রয়োজনে পুরসভা আবেদন জানাবে। কলকাতা পুরসভার হিসেব অনুযায়ী চলতি বছরে মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৫২ জন।