Bangla24x7 Desk : জীবনপ্রদীপ জ্বালিয়ে পাদপ্রদীপের আলোয়। শ‌্যামাপুজো উদ্বোধনে শহরে আসছেন মহম্মদ মানিক। এক মাস আগেও তাঁর নাম জানত না কেউ। কালীপুজো উদ্বোধন তো দূরের কথা , পাড়ায় ছোটখাটো কোনও অনুষ্ঠানেও ডাক পাননি কোনওদিন। এহেন মানিকের উত্তরণের নেপথ্যে অসম সাহস। যে সাহসের কাছে হার মেনেছিল হড়পা বান।

তাঁর হাতেই পুজোর ফিতে কাটার দায়িত্ব তুলে দিয়েছে সোদপুর নাটাগড় ফ্রেন্ডস অ‌্যাসোসিয়েশন। এবার তাদের কালীপুজো ৬২তম বছরে। ক্লাবের সম্পাদক সুজিত দে জানিয়েছেন, ”ব‌্যতিক্রমী পথে হাঁটতে চাই। আমাদের আশপাশে এমন অনেকেই আছে সে অর্থে তাঁরা সেলিব্রিটি নন। খবরের কাগজ , ম‌্যাগাজিনে রোজ রোজ তাঁদের ছবি বেরয় না। কিন্তু আক্ষরিক অর্থে এঁরাই সুপারস্টার।” যেমনটা মহম্মদ মানিক। দেখতে গিয়েছিলেন বিসর্জন। কিন্তু সে রাতে এমনটা হবে, কে জানত? ঘুটঘুটে অন্ধকার। শান্ত মাল নদী আচমকাই বদলে যায় হড়পা বানের অভিঘাতে। সবাই যখন ছুটে পালাচ্ছেন, নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন মানিক। ভয় লাগেনি ?

মানিকের কথায়, ”অনেকগুলো শিশু ভেসে যাচ্ছিল। আমার মনে পড়ে গিয়েছিল নিজের বাচ্চাটার কথা। আর কোনওকিছু না ভেবে ঝাঁপ দিয়েছি।” বিজয়া দশমীর রাত। মালবাজারের মাল নদীতে ঠাকুর বিসর্জন দিতে এসেছিলেন অগুনতি। আকস্মিক হড়পা বানেই নেমে এল সর্বনাশ। পিঁপড়ের মতো ভেসে যাচ্ছিল মানুষগুলো। নিজের জীবন বিপন্ন করে খরস্রোতা নদীগর্ভ থেকে দশজনকে টেনে তোলেন মানিক। টিভিতে সেই দৃশ‌্য দেখার পরই সিদ্ধান্ত স্থির করেন শ‌্যামাপুজো কমিটির কর্তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *