Bangla24x7 Desk : চোখের জটিল অস্ত্রোপচার করে কালীপুজোর আগেই আমেরিকা থেকে দেশে ফিরছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্ঘটনায় তাঁর চোখ এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল যে বারবার অস্ত্রোপচার করতে হয়। সেই কারণেই গত ১৪ অক্টোবর চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী বিদেশে বিশেষ অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। সম্প্রতি চোখের চিকিৎসায় দুবাইয়েও যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তারপর চিকিৎসকদের পরামর্শে আমেরিকায় গিয়ে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে ফের একবার চোখের অস্ত্রোপচার করানোর সিদ্ধান্ত হয়৷
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে , হঠাৎ কোনও সমস্যা না হলে কালীপুজোর আগেই কলকাতায় পা রাখবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। গত ৬ বছরে এটি ছিল তাঁর সপ্তম বারের চোখের অস্ত্রোপচার। ২০১৬ সালে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে এক দুর্ঘটনায় অভিষেকের বাঁদিকের চোখের নিচে গুরুতর আঘাত লাগে। সিঙ্গুরের কাছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে পথের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি দুধের গাড়িতে আচমকা ধাক্কা মেরে উল্টে যায় তৃণমূল সাংসদের গাড়ি। দুমড়ে যাওয়া গাড়ি থেকে অভিষেককে উদ্ধার করা হয়েছিল অচৈতন্য অবস্থায়।
সেই দুর্ঘটনাতে সাংসদের বাঁ চোখের নীচে ‘অরবিটাল বোন’ ভেঙে যায়। এর আগে কয়েক বার অভিষেকের ওই চোখে অস্ত্রোপচার হয়েছে। চিকিৎসা হয়েছে সিঙ্গাপুর এবং হায়দরাবাদে। এর আগে চোখে একাধিকবার অস্ত্রোপচারও হলেও সমস্যা পুরোপুরি মেটেনি। অক্টোবরেই আমেরিকা উড়ে যান তিনি। গত ১২ অক্টোবর পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অভিষেকের চিকিৎসা করেন অস্ত্রোপচার করেন জন্স হপকিন্স হাসপাতালের দুই অভিজ্ঞ শল্য চিকিৎসক।
কিছুদিন আগেই অভিষেকের চোখের ছবি নিজের টুইটারে পোস্ট করেছিলেন কুণাল ঘোষ। সেখানে দেখা যাচ্ছে চোখের মণি বাদে চারপাশে লাল হয়ে রয়েছে। অভিষেকের চোখের অবস্থা নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনা করে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘যাঁরা অভিষেকের চোখের চিকিৎসা এবং অস্ত্রোপচার নিয়ে অমানবিক মনোভাব দেখিয়েছিলেন, তাঁদের অভিষেকের চোখের অবস্থা দেখা উচিত। অভিষেকের এই চোখটি দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। আমরা সকলেই তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।’ তবে কালীপুজোতে বাড়ি ফিরলেও, আপাতত বেশ কিছু নিয়ম তাঁকে মেনে চলতে হবে।