Bangla24x7 Desk : দলবদলের জল্পনার মাঝেই তৃণমূলকে তুলোধনা করেছেন বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। নোদাখালিতে পর্যালোচনা বৈঠক শেষে নিজের ভঙ্গিতে পালটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। হিরণকে আইনি পথে লড়াইয়ের পরামর্শ দিলেন।
কিছুদিন আগে প্রকাশ্যে আসে তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি ও হিরণের একটি ছবি। বেশ কিছুদিন ধরেই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে ওই ছবি। হিরণ এতদিন চুপই ছিলেন। শনিবার নীরবতা ভাঙেন অভিনেতা। সাংবাদিক বৈঠকে মুখ খোলেন তাঁর দলবদলের জল্পনা নিয়ে। প্রথমেই তিনি সাফ জানিয়ে দেন, যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, তা পুরোপুরি ভুয়ো। হিরণের দাবি, প্রযুক্তির ব্যবহার করে ভুল ছবি ছড়ানো হয়েছে। এভাবে আরও অনেক কিছুই প্রকাশিত করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
এ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার নোদাখালিতে বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে দাঁড়িয়েই হিরণ প্রসঙ্গে বলেন, “আমি যদি হিরণের জায়গায় হতাম আর কেউ যদি আমার ছবি বিকৃত করত সেক্ষেত্রে আমি দুটো কাজ করতাম। প্রথমত, মানহানির মামলা, দ্বিতীয়ত, ক্রিমিনাল কেস করতাম। আমি হিরণকে বলব, কেস করুন। ওনার উচিত মামলা করা। তাহলেই দেখে নেওয়া যাবে উনি কোথায় ছিলেন।” অভিষেক আরও বলেন, “আমার কাছে অনেক কিছুর প্রমাণই রয়েছে। প্রকাশ্যে আনলে সবটাই স্পষ্ট হয়ে যাবে।
হিরণকে কটাক্ষ করে তৃণমূল সেকেন্ড-ইন-কমান্ড বলেন, ”আমার ছবি ফটোশপ করা হলে জোর গলায় তদন্ত চাইতাম। ওদের তো অনেক এজেন্সি আছে, তদন্ত করে দেখুক হিরণ সেদিন কোথায় ছিল।” একইসঙ্গে বিজেপি বিধায়কের দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সাংসদ বলেন, ”আমি চাইলে অনেক কিছুই রিলিজ করতে পারি। কিন্তু, সেটা আমি করব না। তাহলে সেটা অনৈতিক হবে।” মিঠুনকে নিয়ে হিরণের দুশ্চিন্তা প্রকাশ নিয়ে অভিষেক বলেন, “মিঠুন তো ওদের নেতা। আগে মিঠুনকে বোঝান হিরণ। তারপর দেবকে বলা যাবে।”