Bangla24x7 Desk : বিক্ষোভরত জুনিয়র চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা……! চরম ‘হুঁশিয়ারি’ কেন্দ্রীয় চিকিৎসক সংগঠনের। ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন এবং অল ইন্ডিয়া রেসিডেন্টস অ্যান্ড জুনিয়র ডক্টরস জয়েন্ট অ্যাসোসিয়েশন ফোরামের বক্তব্য, জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে রোগী মৃত্যুর যে হিসেব সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া হয়েছে ভুল। চিকিৎসক সংগঠন দু’টির অভিযোগ, চিকিৎসকদের কাজে ফেরাতে যেভাবে পরোক্ষ চাপ দেওয়া হচ্ছে। খুব দ্রুত সব রাজ্যের রেসিডেন্ট ডক্টরসরা বৈঠক ডাকতে চলেছে। এই বৈঠকেই ঠিক হবে পরবর্তী কর্মসূচি। সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলায় দ্বিতীয় দিনের শুনানির পর নিরাপত্তা পরিকাঠামো সুনিশ্চিতের আশ্বাসের ভিত্তিতে সর্বভারতীয় স্তরে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে চিকিৎসক সংগঠনগুলি।
সংগঠনের অভিযোগ, এখনও চিকিৎসকদের কোন দাবি মেটেনি। উল্লেখ্য, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানির দিন রাজ্য সরকারের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পর্দিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে সওয়াল করেন, চিকিৎসার অভাবে রাজ্যে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকদের কর্মবিরতিকে দায়ী করেছে রাজ্য। চিকিৎসার অভাবে রোগী মৃত্যুর উল্লেখ রয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টেও। এরপরই ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের দাবি, সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য মিথ্যে কথা বলছে। তারপরই পাঁচ দফা দাবি নিয়ে স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের ডাক দেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে কর্মবিরতি তুলে কাজে যোগ দিতে হবে জুনিয়র ডাক্তারদের। তবে একাধিক দাবি নিয়ে স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে নেমেছে জুনিয়র চিকিৎসকরা । বুধবার স্বাস্থ্য ভবনের বাইরে বিক্ষোভ আন্দোলনে বসে রয়েছেন তাঁরা।
এই পরিস্থিতিতে এবার রাজ্যকে সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠনগুলি দিল বার্তা। কাজে ফেরা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিক্ষোভরত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে দেশ জুড়ে ফের আন্দোলনে নামতে পারে তারা। আলোচনা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ইমেল করেছে জুনিয়র চিকিৎসক সংগঠন। মুখ্যমন্ত্রী বা নবান্ন সময় দিলে প্রতিনিধি দল যাবে আলোচনা করতে। আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন এক জনই। বুধবার সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের দফতরে ডাকা হয়েছে আরজি কর হাসপাতালের চার জুনিয়র ডাক্তারকে। ইতিমধ্যেই সিবিআই অফিসে পৌঁছে গিয়েছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, ধর্ষণ ও খুনের মামলা সংক্রান্ত বিষয়েই ডাকা হয়েছে ওই চার জুনিয়র চিকিৎসককে।