Bangla24x7 Desk : একেই বোধহয় বলে আকাশ থেকে পড়া! কী ছিলেন আর কী হলেন? গৌতম আদানি সম্পর্কে এই কথা এখন অক্ষরে অক্ষরে সত্যি হয়ে উঠছে। বছর দেড় আগেও এশিয়ার দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তি ছিলেন। সামনে শুধু ছিলেন রিলায়েন্স কর্তা মুকেশ আম্বানি। এমনকী আদানি পিছনে ফেলে দিয়েছিলেন চিনা ধনকুবেরকে। এরপর তাঁর উত্থান ঘটতে থাকে প্রায় উল্কার গতিতে। ২০২১ সালে তাঁর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছিল ২৬১ শতাংশ! দেশের ধনকুবেরদের তালিকায় তাঁর উত্থান আগের সমস্ত পরিসংখ্যানকে অনেক পিছনে ফেলে দেয়।
মাত্র তিনদিনের মধ্যেই আরও বড় পতন। বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের ২০ জনের তালিকা থেকেও ছিটকে গেলেন শিল্পপতি গৌতম আদানি। এখনও পর্যন্ত ১২৪ বিলিয়ন সম্পত্তি খুইয়েছেন তিনি। গত মাসের মাঝামাঝি সময়েও যা ছিল ৬১ বিলিয়নের সামান্য বেশি। পরিসংখ্যান বলছে , এটাই নাকি রেকর্ড ক্ষতি সংস্থার। এর আগে ৩১ জানুয়ারি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ১০ জনের মধ্যে থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন। এরপর ফেব্রুয়ারির তিনদিনের মধ্যেই আরও পিছনে চলে গেলেন আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার। ডিসেম্বর থেকেই নাকি ৭৬ শতাংশ সম্পত্তি কমেছে আদানিদের।
শুক্রবার দেখা গেল , বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের মধ্যে ২০ নম্বরেও নাম নেই আদানির। বলা হচ্ছে, এটাই নাকি সবচেয়ে বড় ক্ষতি সংস্থার। আর আদানি গ্রুপের এই লোকসানের জেরে ধুঁকছে তাদের শেয়ার হোল্ডার সংস্থাগুলি। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ সংস্থার রিপোর্টে আদানি গোষ্ঠীর হৃদকম্পন বেড়েছে। দীর্ঘ ৪০০ পাতার রিপোর্টে আদানিদের শেয়ার হু হু করে পড়েছে। সম্পত্তি কমেছে অনেকটা। সেই তালিকায় অনেকটা পিছু হঠেছেন গৌতম আদানি। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আদানি গোষ্ঠীর তরফে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী এমএল শর্মা।