Bangla24x7 Desk : সল্টলেকে গত কয়েকদিন ধরে রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন ২০১৪-র টেট প্রার্থীরা। আর এবার আন্দোলনে নামলেন ২০১৭-র টেট প্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার সল্টলেক-এর ১০ নম্বর ট্যাঙ্কির কাছে আন্দোলন শুরু করেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, ২০১৪-র প্রার্থীদের দাবি নায্য নয়। ২০১৭-র প্রার্থীদের বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে অনশন শুরু করেছেন তাঁরা।

কী দাবি আন্দোলনকারীদের ?

১. ২০১৪ টেট প্রার্থীরা দু’বার ইন্টারভিউ দেওয়ার পর কেন ফের সুযোগ দেওয়া হবে?

২. আন্দোলনকারীদের দাবি, ২০১৪ টেট প্রার্থীরা টেট দেওয়ার পরে ট্রেনিং নিয়েছেন, যা অনৈতিক। এনসিটি-র নিয়ম অনুযায়ী আগে ট্রেনিং নিয়ে তারপর তাঁরা টেট পাশ করেছেন। পর্ষদ এখানে দ্বিচারিতা করছে বলে মত প্রার্থীদের।

৩. আদালতের তরফে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে দাবি ২০১৭ টেট প্রার্থীদের। আন্দোলকারীরা বলছেন, ‘২০১৪ সালের টেট দুর্নীতিতে মানিক ভট্টাচার্য এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ায় মনে করা হচ্ছে, সব দুর্নীতি ২০১৪ সালে হয়েছে। এটা অন্যায়। আমরাও বঞ্চিত হয়েছি।’

৪. কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন, ‘আমাদের ২০১৮-১৯ সালেই চাকরি হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। আমাদের বঞ্চিত করে কেন ২০২০ সালে নিয়োগ হল?’

৫. শূন্যপদের সংখ্যা বাড়িয়ে সবাইকে নিয়োগ করা হোক, বলছেন বিক্ষোভকারীরা।

৬. আন্দোলকারীদের দাবি, প্রাথমিকে যত শূন্যপদ আছে, তাতে সবার নিয়োগ হওয়ার পরও শূন্যপদ থাকবে।

সেক্টর ফাইভ মেট্রো স্টেশন থেকে দৌড়ে মিছিল করে করুণাময়ীর এপিসি ভবনের দিকে যাচ্ছেন ২০১৭র টেট প্রার্থীরা। আমরণ অনশনে বসবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ২০১৪-র টেট প্রার্থীরা যেখানে অনশন করছেন, তার থেকে ৩০০ মিটার দূরেই শুরু এই নতুন আন্দোলন। এ দিন পুলিশের তরফে ২০১৭-র প্রার্থীদের বাধা দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। পরে তাঁদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে এবার কার্যত ২০১৪ বনাম ২০১৭-র লড়াই শুরু হল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *