Bangla24x7 Desk : রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে অনুসরন করার অভিযোগ। শান্তিকুঞ্জ সংলগ্ন এলাকা থেকে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার নেপথ্যে শাসকদলের যোগ রয়েছে বলে দাবি বিজেপির। যদিও তৃণমূল তা অস্বীকার করেছে। সূত্রের খবর, ধৃতদের একজনের নাম শান্তনু মাইতি। হলদিয়ার দুর্গাচকের বাসিন্দা সে।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ের পিছু নেয় দুই যুবক। বাইকে ছিল তাঁরা। বিরোধী দলনেতার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জওয়ানরা বিষয়টা দেখতে পেয়েছিলেন। কনভয় শান্তিকুঞ্চে পৌঁছতেই ওই যুবকদের ধরেন জওয়ানরা। কী কারণে তাঁরা পিছু নিয়েছিল, তা জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। এরপরই কাঁথি থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে। কাঁথির এসডিপিও সোমনাথ সাহা বলেন, “দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বাড়ি হলদিয়ার দুর্গাচক এলাকায়। তাঁদের উদ্দেশ্য কি ছিল জানতে জেরা চলছে।”
অস্ত্র প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “রাজ্যে অস্ত্র ঢুকছে। ভিআইপি-দের গাড়িতে যেন অস্ত্র আমদানি না হয়। ওই ভিআইপি প্রোটেকশন নিয়ে প্রচুর টাকা ঢুকছে। কালো পোশাক, কালোয় মুখ ঢেকে এসব হচ্ছে। এ যেন ওইরকম – ‘একটু জায়গা দাও মা/গুণ্ডামি করে আসি।’ কালো টাকাও ঢুকছে। ছক বানচাল করে দিতে হবে। ছোট্ট কোনও ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের নজরে এনে তা সামাল দিন।” তারপরই এই ঘটনা যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ।
বিজেপির দাবি, ধৃতদের সঙ্গে শাসকদলের যোগ রয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করে সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ খতিয়ে দেখবে। তৃণমূলের কোনও দরকার নেই কারও পিছু নেওয়ার। জনবিচ্ছিন্নরা অনেকের নামে অনেক কিছু বলবে, তাতে গুরুত্ব দিলে চলবে না।” পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীকেও বিঁধেছেন তিনি। তাঁর কথায়, এই ঘটনার সঙ্গে রাতের অস্ত্র আমদানির অভিযোগের যোগও থাকতেই পারে।