Bangla24x7 Desk : আবগারি নীতি নিয়ে দিল্লিতে রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে , বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর), দিল্লি বিধানসভায় আস্থা ভোটে জয়ী হল আম আদমি পার্টির সরকার। ৭০ সদস্যের বিধানসভায় ৬২টি আসন রয়েছে আপের। এদিন আস্থা ভোটে ৫৮ টি ভোট পেয়েছে অরবিন্দ কেজরীবালের সরকার। এদিন তাঁদের ৪ বিধায়ক অনুপস্থিত ছিলেন। কোনও বিধায়কই এদিন আস্থা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেননি। কারণ, আস্থা ভোটের সময় বিধানসভায় ছিলেন না বিজেপি বিধায়করা। তিন বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করার প্রতিবাদে বাকি বিজেপি বিধায়করাও বিধানসভা কক্ষ ত্যাগ করেন। দিল্লিতে বিজেপির ‘অপারেশন লোটাস’ ব্যর্থ হয়েছে, তা প্রমাণ করতেই আপ সরকার সোমবার এই অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল।
আস্থা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল বলেন, “মানব জাতির অস্তিত্বের ৩০০০ বছরের মধ্যে, আম আদমি পার্টির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে। আমাদের ৪৮ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে ১৭৯টি মামলা রয়েছে। আমরা একটি ছোট দল, সদ্য জন্ম হয়েছে। এই ১৭৯টি মামলার মধ্যে ১৩৪টি মামলা খারিজ করা হয়েছে। আদালত বলেছে, এই মামলা গুলির বিষয়ে কোনও প্রমাণ নেই।”
তার আগে ডেপুটি স্পিকার রাখি বিড়লার সঙ্গে তীব্র তর্কাতর্কি হয় তিন বিজেপি বিধায়কের। অনাস্থা প্রস্তাবের উপর আলোচনার আগে বিধানসভায় তাদের ‘কলিং নোটিস’ গ্রহণের আবেদন করেছিলেন তিনি। ডেপুটি স্পিকার রাখি বিড়লা সেই আবেদনে কর্ণপাত করেননি। তিনি সাফ জানান, অনাস্থা প্রস্তাবের উপর বিতর্ক ও ভোট না হওয়া পর্যন্ত কোনো ‘কলিং অ্যাটেনশন নোটিস’ নেওয়া হবে না। এরপরও তিন বিজেপি বিধায়ক – বিজেন্দর গুপ্ত , অভয় ভার্মা এবং মোহন সিং বিস্ত ডেপুটি স্পিকারের সঙ্গে তর্ক করতে থাকেন। এরপর তাঁদের তিনজনকে মার্শাল দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। এরপরই ওই তিন জনের সমর্থনে কক্ষত্যাগ করেন বিজেপির বাকি বিধায়করা।
কেজরিওয়াল এদিন আরও জানিয়েছেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই অভিযান চালানোয় গুজরাটে আপের ভোটের হার ৪ শতাংশ বেড়েছে। তিনি আরও জানান, সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করা হলে, ভোটের হার ৬ শতাংশ বাড়বে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিজেপি আপ বিধায়কদের ক্রয়ের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু, তাঁদের কোনও বিধায়ক সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি। বিজেপিকে চরম কটাক্ষ করে কেজরীবাল বলেন, “চূড়ান্ত দুর্নীতিগ্রস্ত দলে শিক্ষিত লোকের অভাব রয়েছে। কঠোর সৎ দলে ভাল শিক্ষিত লোক, আসল আইআইটি ডিগ্রিধারীরা রয়েছে।”