Bangla24x7 Desk :  রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে মন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরির মন্তব্যে শোরগোল থামেনি এখনও। বরং রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনে তা নিয়ে নতুন করে তর্কবিতর্ক হতে পারে, সেই আঁচ ছিল আগেই। অধিবেশনের শুরুর দিন হল সেটাই। অখিল গিরির মন্তব্যের প্রতিবাদ ও তাঁকে রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করার দাবিতে প্রথমে মুলতুবি প্রস্তাব, পরে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ – বিজেপির জোড়া কর্মসূচিতে প্রথমার্ধ্বে শুরুতেই শেষ হয়ে গেল অধিবেশন।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিল গিরির মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনা চেয়ে বিধানসভা অধিবেশনে প্রস্তাব আনেন বিরোধীরা। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সেই প্রস্তাব পত্রপাঠ খারিজ করে দেন। বিজেপি বিধায়করা এরপর মুলতুবি প্রস্তাব আনেন। তাও খারিজ করে স্পিকার বেরিয়ে যান অধিবেশন কক্ষ থেকে। তারপর বিজেপির মহিলা বিধায়কদের নেতৃত্বে বিধানসভার পোর্টিকোয় নেমে বিক্ষোভ দেখান বিরোধীরা। সামনের সারিতে ছিলেন আদিবাসী ও মহিলা বিধায়করা। ছিলেন অগ্নিমিত্রা পল, মালতী রাভারা। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ছবি নিয়ে স্লোগান তোলেন তাঁরা।

অন্যদিকে, অখিল গিরির পালটা বক্তব্য, আমি এবং মুখ্যমন্ত্রী নিজে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি। তারপরও বিজেপি বিশেষত বিরোধী দলনেতা যা করছেন, তা রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য।” বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, দেশের রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে এমন বিতর্কিত, অপমানজনক মন্তব্যের পর কেন অখিল গিরিকে মন্ত্রিসভায় রাখা হয়েছে? অবিলম্বে তাঁকে সরানোর দাবি তুলেছেন শুভেন্দু। তিনি আরও বলেন, ”গ্রেপ্তারির বিষয়টা আদালত দেখবে। তা নিয়ে আমরা কিছু বলছি না। কিন্তু মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করা তো মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। তিনি কেন বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না? আমাদের এই দাবি জারি থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *