Bangla24x7 Desk : দলের সাংগঠনিক জোন ও সেই জোনের অন্তর্গত বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের নাম ঘোষণা করল বঙ্গ বিজেপি। এক্ষেত্রে দিলীপ ঘনিষ্ঠদের ব্রাত্য করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। বাদ পড়েছেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় , রাজকমল পাঠক , রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো পুরনো নেতারা। গুরুত্বপূর্ণ এই পদ পেয়েছেন সজল ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা। সেভ বেঙ্গল বিজেপির তরফে একটি টুইট করে স্বপন দাশগুপ্ত ও অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়কে কোর কমিটির সদস্য করায় সমোলোচনা করা হয়েছে।
বিজেপির কলকাতা জোনের ইনচার্জ ও আহ্বায়ক যথাক্রমে অগ্নিমিত্রা পল ও জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। কলকাতা বিভাগের দায়িত্ব দীপাঞ্জন গুহর সঙ্গে দেওয়া হয়েছে সজল ঘোষকে। রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে সেখানে সজলকে আনা হয়েছে। এবারও কোনও জায়গা পাননি দিলীপ ঘনিষ্ঠ আর এক নেতা সায়ন্তন বসু। সোমবারই দলের মহিলা মোর্চার ইনচার্জ করা হয়েছিল লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। এদিন গুরুত্ব আরও বাড়ল তাঁর। রাঢ়বঙ্গ জোনের ইনচার্জের দায়িত্ব তাঁকে দিয়েছে দল। এদিকে গুরুত্ব বেড়েছে দুই বিধায়ক দীপক বর্মন ও বিমান ঘোষের। উত্তরবঙ্গ জোনের আহ্বায়ক হয়েছেন দীপক। হুগলি বিভাগের আহ্বায়ক হয়েছেন বিমান।
কোর কমিটিতে জায়গা না পেয়ে সাংসদ সৌমিত্র খাঁ রাঢ় বঙ্গ জোনের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন। দলের একাংশ প্রশ্ন তুলেছে, রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে কেন ব্রাত্য রাখা হচ্ছে? কোর কমিটি তো বটেই কোনও জোন-বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি তাঁকে। অথচ, তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে প্রতিটা বিধানসভাই বিজেপি দখলে রেখেছে। সেই জয়ে জগন্নাথ বাবুর বড় ভূমিকা ছিল। তুন কোর কমিটি ও জোন-বিভাগের দায়িত্ববন্টন পর্ব ঘোষণা হতেই ফের বঙ্গ বিজেপিতে কোন্দল চরমে। ক্ষোভ দানা বেঁধেছে একাধিক শীর্ষ নেতাদের মধ্যে।