Bangla24X7 Desk : হাই কোর্টের নির্দেশে ওএমআর শিট গরমিলে চাকরি হারিয়েছেন গ্রুপ সি’র ৫৭ জন। সেই তালিকায় নাম রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা দুলাল বরের মেয়ে বৈশাখীর৷ প্রাক্তন বিধায়কের মেয়ের নাম তালিকায় থাকায় শাসকদল তৃণমূল সরব। প্রাক্তন বিধায়কের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে ঘাসফুল শিবির।

হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ৫৭ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। ওই তালিকা অনুযায়ী , ৪২৮ নম্বরে বৈশাখী বরের নাম রয়েছে৷ এ বিষয়ে তাঁর বাবা দুলাল বর বলেন, “পাঁচ-সাত বছর আগে মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে৷ নদিয়ায় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলাম৷ বারাকপুরে কোন একটি স্কুলে এসে চাকরি করে৷ কীভাবে চাকরি পেয়েছে তা মেয়েই বলতে পারবে৷ মেয়েদের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরে শ্বশুরবাড়ির ভূমিকাই থাকে৷ সারা জীবন দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করেছি৷ মেয়ের বিষয়ে কী হয়েছিল তা সরকার এবং শিক্ষাদপ্তর বলতে পারবে৷

বাগদা আঞ্চলিক তৃণমূল সভাপতি সঞ্জীত সর্দার তাঁকে আক্রমণ করেন। বলেন, “দুলাল বর এবং বাগদার মামাভাগ্নে গ্রামের বাসিন্দা চন্দন মণ্ডল দু’জনেই শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির ঘটনায় যুক্ত৷ দু’জনেই চাকরি দেবে বলে লোকজনের কাছ থেকে টাকাপয়সা তুলেছে৷ চন্দনের মাধ্যমেই দুলাল বরের মেয়ের চাকরি হয়েছে।” দুলাল বরকে গ্রেপ্তারির দাবিও জানিয়েছেন সঞ্জীত। যদিও দুলাল চন্দনের মাধ্যমে তাঁর মেয়ের চাকরির কথা অস্বীকার করেছেন।

দুলাল বাবু পালটা বলেন, “চন্দন মণ্ডলের সঙ্গে আমার কোনও ব্যক্তিগত যোগাযোগ নেই৷ পার্শ্ব শিক্ষক হিসেবে তাঁকে চিনতাম৷ তাঁর কোনও কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আমি জড়িত নই৷” তাঁর আরও অভিযোগ, “বাগদার রামনগরের বাসিন্দা তৃণমূল নেতার ছেলে সন্তু দাস চন্দনকে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিল৷ তাঁর নামও এই তালিকায় রয়েছে৷ এলাকায় সকলেই সন্তুকে চিনত চন্দনের পালিত ছেলে হিসেবে৷ সন্তুর পরিবারের পক্ষ থেকে চন্দনের মাধ্যমে সন্তুর চাকরি পাওয়ার কথা স্বীকার করা হয়েছে৷” সন্তুর মা বলেন, “ছেলে আগে সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করত৷ অনেক চাকরির পরীক্ষা দিয়েও চাকরি পাচ্ছিল না। তখন এখানে চাকরি কেনাবেচা হচ্ছিল৷ জমি বিক্রি করে চন্দন মণ্ডলকে টাকা দিয়েছিলাম৷ চাকরিও হয়েছিল৷ এখন শুনছি চাকরি চলে যাচ্ছে৷”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *