Bangla24x7 Desk : খেলার মাঠ থেকে মঞ্চ – যে কোন বুদ্ধিদীপ্ত ক্যাপ্টেন তার সেরা খেলাটা শেষবেলার জন্য তুলে রাখেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার ব্যতিক্রম নন। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ কেন্দ্রের মোদি সরকারের। আর ১৪ মাস পর লোকসভা নির্বাচন। যদিও আরেকটি বাজেট সেশন আসবে। কিন্তু সেটা ভোট অন অ্যাকাউন্ট। তাই এবারের বাজেট কেমন হয় সেদিকে নজর ছিল সকলের। এবারের বাজেটকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে উল্লেখ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জানালেন, ”এই বাজেট দরিদ্র, গ্রামবাসী, কৃষক ও মধ্যবিত্তের স্বপ্নকে পূরণ করবে।”
এদিন অর্থমন্ত্রী বাজেট পেশ করার পর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। মহিলা স্বনির্ভর গ্রুপ যা ভারতে নিজেদের অনেক বড় জায়গা করে নিয়েছে। সেদিকে লক্ষ রেখে বিশেষ প্রকল্প আনা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে ‘মহিলা সম্মান সঞ্চয় প্রকল্পে’র কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন ‘শ্রী অন্ন প্রকল্পে’র কথা। প্রযুক্তিক্ষেত্রে বিনিয়োগ বেড়েছে। একথা জানিয়ে মোদির আশ্বাস, এর ফলে দেশে চাকরির ক্ষেত্রে নতুন নতুন দিক খুলে যাবে। তবে প্রধানমন্ত্রী এবারের বাজেটের এমন ভূয়সী প্রশংসা করলেও বিরোধীরা কিন্তু সমালোচনা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন , “”নির্মলাজি ও তাঁর দলকে ঐতিহাসিক বাজেট পেশের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। দেশের কয়েক কোটি বিশ্বকর্মা এই দেশকে নির্মাণ করে চলেছেন। এই সব বিশ্বকর্মার সৃজন ও পরিশ্রমকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এই বাজেটে।” প্রধানমন্ত্রী এদিন বাজেটের প্রশংসা করতে গিয়ে বলেন, “কোটি কোটি বিশ্বকর্মা রয়েছেন এ দেশে। তাঁরাই দেশ গড়ার কারিগর। তাঁরাই দেশ নির্মাণ করেছেন। তাঁদের পরিশ্রমেই দেশ গড়ে ওঠে। এই বাজেটে সেই সকল বিশ্বকর্মাকে সর্বতভাবে সাহায্য করা হয়েছে। সরকার সর্বদা তাঁদের পাশে রয়েছে। এই বাজেট তা সুস্পষ্ট করেছে।”
২০১৯-এ দ্বিতীয়বার নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকেই লাগাতার বাড়তে শুরু করে জ্বালানির দাম। ইতিমধ্যেই ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে পেট্রোলের দাম। এর পাশাপাশি রান্নার গ্যাস ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামও বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। এই পরিস্থিতিতে বাজেট আদৌ মধ্যবিত্তদের জন্য কতটা জনমোহিনী, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে বিরোধী শিবির। করোনায় কাবু অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এদিন বেশ কিছু প্যাকেজ ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তারপরও মধ্যবিত্তের মন পুরোপুরি জিততে পারেনি BJP।