Bangla24X7 Desk : দিল্লিতে যাওয়ার পরই ইডির জেরার মুখে পড়েন অনুব্রত মণ্ডল। নিয়ম অনুযায়ী, অভিযুক্তকে নিজেকেই লিখতে হয় নিজের বয়ান। সামনে থাকেন তদন্তকারী অফিসাররা। অনুব্রতর বয়ান লেখার সময় আসতেই ওঠে লেখাপড়া প্রসঙ্গ। আদতে অনেক ছোট বেলায় অনুব্রত মণ্ডল বুঝতে পেরে গিয়েছিলেন জীবন আদতে কী। তাই পড়াশোনায় বিশেষ আগ্রহ দেখাননি। অষ্টম শ্রেণির পরই বেছে নিয়েছিলেন উপার্জনের পথ। কোনও সময় মুদি দোকানে কাজ করছেন। কোনও সময় আবার মাছের ব্যবসা করেছেন। পরবর্তীতে রাজনীতিতে আসায় ফিরে গিয়েছে ভাগ্য। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হয়ে উঠেছিলেন বীরভূমের বেতাজ বাদশা। ফলত লেখার প্রয়োজন আর বিশেষ পড়েনি।
দিল্লিতে অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করতে গিয়ে বিপাকে ইডি আধিকারিকরা। কারণ, অনুব্রতর দাবি, তিনি নাকি লিখতে জানেন না। ফলত নিয়ম অনুযায়ী বয়ান লিখতে পারলেন না কেষ্ট। এদিকে হিন্দি বুঝতে সমস্যার জন্য অনুব্রতকে জেরার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের মধ্যে এমন দু’জন রয়েছেন, যারা বাংলা বোঝেন। অনুব্রত বলেন, “আমি লিখতে পারি না স্যর। শুধু সই করতে পারি।” ফলে বয়ান কীভাবে লেখানো হবে, তা নিয়ে তৈরি হয় ধন্দ। যদিও পরবর্তীতে সেই পথও খুঁজে নেন আধিকারিকরা। বয়ান লেখার পর তা পড়ে শোনানো হয় অনুব্রতকে। তারপর তা ঠিক আছে বলে জানিয়ে সই করে দেন তিনি। জানা গিয়েছ, যে কদিন ইডি হেফাজতে থাকবেন অনুব্রত, সেই কদিন নিরপেক্ষ একজনকে দিয়ে বয়ান লেখানো হবে।