Bangla24x7 Desk : ‘চোর, চোর’ স্লোগানের পর আলিপুর আদালত চত্বরে সন্দীপ ঘোষের উপর হামলার চেষ্টা। আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। ‘তিলোত্তমা’-র নৃশংস পরিণতিতে তাঁর বিরুদ্ধেও ক্ষোভ বাড়ছিল। আরজি করের সেই প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে এবার সপাটে চড় মারলেন এক বিক্ষোভকারী। এদিন আলিপুর আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় সন্দীপকে। সেইসময় আদালত চত্বরে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ বাড়তে থাকে। সেই বিক্ষোভে সামিল হতে দেখা যায় আইনজীবীদের। আদালতের ভিতরে কোনওরকমে নিয়ে যাওয়া হয় সন্দীপকে। তাঁকে ৮ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। তারপরই কড়া নিরাপত্তার মধ্যে বের করে আনা হয় সন্দীপকে। সেই সময় এক বিক্ষোভকারী চড় মারের আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে।

গত ৯ অগস্ট আরজি করের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় এক জুনিয়র মহিলা ডাক্তারের দেহ। ‘তিলোত্তমা’-র নৃশংস পরিণতির প্রতিবাদে সরব হন সাধারণ মানুষ থেকে বিশিষ্টজনরা। ঘটনার পর হাসপাতালের সুপারকে সরানো হলেও পদে থেকে যান সন্দীপ। যা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ে। চারদিনের মাথায় পদত্যাগ করেন তিনি। সেদিনই তাঁকে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ করা হয়। কলকাতা হাইকোর্ট সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়। এরইমধ্যে আরজি করে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সেই মামলাতেই সোমবার সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এ দিন সন্দীপ ঘোষ সহ বাকি অভিযুক্তদের দশ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চান সিবিআই আইনজীবী৷ 

 আদালত চত্বরে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা কম ছিল। সন্দীপ ঘোষকে আদালতে ঢোকাতে বেগ পেতে হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। পরিস্থিতি দেখে আরও ফোর্স আনা হয়। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আদালত চত্বর থেকে বের করা হয় সন্দীপকে। তখন বিক্ষোভকারীদের ভিড় সেখানে। সন্দীপকে বের করে নিয়ে যাওয়ার সময়ই এক বিক্ষোভকারী চড় মারেন সন্দীপকে। এ দিন বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ সন্দীপ ঘোষ সহ চারজনকে আদালতে পেশ করার জন্য নিয়ে পৌঁছয় সিবিআই৷ তার আগে থেকে আদালত চত্বরে ভিড় জমাচ্ছিলেন আইনজীবীরা৷ শেষ পর্যন্ত, বিচারকও সবাইকে শান্ত হওয়ার আর্জি জানান ৷ তাতেও কাজ না হওয়ায় বাড়তি বাহিনী নিয়ে এসে এজলাস ফাঁকা করার জন্য নির্দেশ দেন বিচারক৷  বছর দুয়েক আগে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে জুতো ছুড়তে দেখা গিয়েছিল। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *