Bangla24x7 Desk : পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলা সফরে বেরিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নদিয়ায় একটি বড়সড় কর্মীসভা দিয়ে এই পর্যায়ের জেলা সফর শুরু করতে চলেছেন মমতা। সেই সভার জন্য মঙ্গলবারই কৃষ্ণনগরের সার্কিট হাউসে পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। সেখানে বেশ কয়েকজন স্থানীয় নেতা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়।
মমতা সার্কিট হাউসে পৌঁছনোর পর সেখানে মুকুল রায় যান। বেশ কিছুক্ষণ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয় তাঁর। তৃণমূল সূত্রে খবর, বুধবার মমতার যে প্রকাশ্য কর্মীসভা আছে, তাতেও মুকুল হাজির থাকতে পারেন। পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগে আগে নদিয়ায় মুকুলের এভাবে সক্রিয় হওয়াটা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। বস্তুত, মুকুলের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা পুরোপুরি কাটেনি। খাতায়-কলমে তিনি বিজেপির বিধায়ক হলেও, গতবছর বিধানসভা নির্বাচনের পরে তৃণমূল ভবনে গিয়ে তৃণমূলের উত্তরীয় পরতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। রাষ্ট্রপতি ভোটের সময়ও তিনি তৃণমূল প্রার্থীকেই ভোট দেন। ভাইফোঁটার অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। তখনই তাঁর রাজনৈতিক সক্রিয়তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছিল। মঙ্গলবার তা অনেকটাই স্পষ্ট হল।
মুকুল রায় তৃণমূলে থাকাকালীন নদিয়া জেলার পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন। গোটা জেলাটিকে হাতের তালুর মতো চেনেন তিনি। বিশেষ করে নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলায় এখনও বহু অনুগামী রয়েছে মুকুলের। আর এই মতুয়া অধ্যুষিত এলাকায় এই মুহূর্তে তৃণমূল কিছুটা হলেও বেকায়দায়। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি যে গুটিকয়েক এলাকায় ভাল ফল করেছিল, নদিয়া দক্ষিণের রানাঘাট লোকসভা এলাকা তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। স্বাভাবিকভাবেই মমতার রাজনৈতিক সফরে মুকুলের এই উপস্থিতি বেশ ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।