Bangla24x7 Desk : ‘বদলার’ সুর লাভ্লি মাৈত্রর গলায় – সতর্ক করল দল , তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন। স্পষ্টভাষায় বার্তা দেন তিনি। নাগরিক সমাজ, চিকিৎসক সমাজের কণ্ঠ কোনওভাবে রুদ্ধ করার চেষ্টা চলবে না। নিজের মত প্রকাশের স্বাধীনতা সকলেরই আছে। দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের এ হেন বার্তার পর পরই কাঞ্চন মল্লিক নিজের মন্তব্যের জন্য ফেসবুকে ভিডিয়ো পোস্ট করে ক্ষমা চান। দলীয় কর্মসূচিতে এমনই বার্তা দিয়েছিলেন সোনারপুর দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্র। নাম করে সুজন চক্রবর্তী, সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণও শানান। সেই লাভলিকেই এবার সতর্ক করল দল। অন্যদিকে লাভলি মৈত্রের বিরুদ্ধে সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ বিষয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “সতর্ক করাটা উচিত। পরপর উত্তরবঙ্গের মন্ত্রী, কালনা-ক্যানিংয়ের বিধায়ক, সোনারপুরের বিধায়ক। পুরো কুকথার স্রোত চলছে। হুমকি, উস্কানি চলছে। তবে তৃণমূলের সতর্ক করার কী মানে তাও জানি না। তবে আমি লাভলিদের কাউন্ট করি না। কম বয়স। কিছু বোঝে না। এসব বদহজম।” নাগরিক সমাজ, চিকিৎসক সমাজের কণ্ঠ কোনওভাবে রুদ্ধ করার চেষ্টা চলবে না। নিজের মত প্রকাশের স্বাধীনতা সকলেরই আছে – যেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাষায় বার্তা দিয়েছেন সেখানে দলীয় বিধায়ক হয়ে কীভাবে কুকথার স্রোত বইয়ে দিচ্ছেন ? তাহলে কি দলে কোন শৃঙ্খলা নেই ? উঠছে প্রশ্ন।
সোমবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ লেখেন, ‘জনপ্রতিনিধিদের আরও নম্র এবং সমব্যাথি হতে হবে। তৃণমূল কংগ্রসের সকল সদস্যদের কাছে আমার আবেদন, স্বাস্থ্যকর্মী এবং নাগরিক সমাজের কারও প্রতি কোনও কুমন্তব্য করবেন না। প্রতিবাদ করার অধিকার সকলের আছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোর সঙ্গে আমাদের তফাৎ এখানেই। আমরা বুলডোজার মডেল ও রাজনৈতিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করি। এখন সময় এই ধরনের নৃশংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে তার জন্য গঠনমূলক পদক্ষেপ করার। এই লড়াইয়ে বাংলাকে একসঙ্গে লড়তে হবে। যতক্ষণ না ধর্ষণ বিরোধী আইন আনে কেন্দ্র ও রাজ্য ততক্ষণ আমাদের এক হয়ে লড়ে যেতে হবে।’ আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ঘটনার পরদিন থেকেই লাগাতার আন্দোলন, কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এখনও হাসপাতালের আউটডোরে কাজে যোগ দেননি তাঁরা।