Bangla24x7 Desk : এসএসসি দুর্নীতির সঙ্গে গরুপাচার মামলার যোগসূত্র পেল CBI। রহস্যের কিনারা করতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ ধৃত প্রসন্ন রায়ের স্ত্রী ও ভাইকে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কি এই যোগ সূত্র ? গরুপাচার মামলার তদন্ত নেমে একাধিক কোম্পানির হদিশ পেয়েছিল সিবিআই। তদন্তকারীদের দাবি, সেই সমস্ত কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত এসএসসি দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার মিডলম্যান প্রসন্ন রায়ের স্ত্রী ও ভাই। ফলে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে রহস্যের কিনারা করা যেতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে জেরা করে প্রদীপ সিং নামে এক মিডলম্যান বা মধ্যস্থতাকারীর খোঁজ পায় সিবিআই। তারপর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সূত্রের খবর, প্রদীপকে জেরা করেই প্রসন্ন কুমার রায়ের খোঁজ পান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। গ্রেপ্তার করা হয় প্রসন্নকেও। প্রসন্নর উত্থান অবাক করেছিল সিবিআই আধিকারিকদেরও। রংমিস্ত্রি থেকে শিল্পপতি হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। হাওড়ার গাদিয়াড়ার পাশাপাশি সুন্দরবনেও প্রায় ৫০ কোটি টাকার দু’টি হোটেলের মালিক প্রসন্ন। দ্বিতীয় বিয়ের পর স্ত্রী নীলিমাকে বিলাসবহুল হোটেল দুটি উপহার দিয়েছিলেন তিনি।
শুধু তাই নয়, সুন্দরবনে পর্যটন ব্যবসা পোক্ত করার জন্য তিনটি বিলাসবহুল জলযানও কিনেছিলেন তিনি। এইসব তথ্যই পৌঁছেছে সিবিআই ও ইডির কাছে। সুন্দরবনের দয়াপুরে প্রায় ১৬ বিঘা জমির উপর অবস্থিত হোটেল দু’টি। একটি হল, সুরঞ্জনা। অন্যটির নাম রয়্যাল বেঙ্গল। হোটেল দু’টিতে প্রায় তিন শতাধিক ঘর আছে। প্রায় প্রতিটি ঘরই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। এছাড়া আরও সম্পত্তি রয়েছে প্রসন্ন রায়ের। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে গত জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে ইডি’র হাতে গ্রেপ্তার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তাঁর ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা, বিদেশি মুদ্রা, গয়নাগাটি বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। তারপর থেকে জালে একের পর এক অভিযুক্ত।