Bangla24x7 Desk : গরু পাচার মামলা ! আগামী ১৪ দিনের জন্য ফের গরাদের পিছনেই বীরভূমের ‘কেষ্ট’। এদিন অনুব্রতর জামিনের আবেদনই করেননি তাঁর আইনজীবী। ফলে ফের ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ওই দিনই পরবর্তী শুনানি। শুক্রবার আসানসোল জেলা আদালতে তাঁকে পেশ করা হয়।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি অনুব্রত মণ্ডলকে তোলা হয়েছিল আদালতে। সেদিন সিবিআই বিচারকের কাছে দাবি করেছিল আরও বেনামি অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। বীরভূমের কোঅপারেটিভ ব্যাংকের ১৭৭ টি বেনামি অ্যাকাউন্টের কথা জানা গিয়েছিল আগেই। তারপর আরও ৫৪:টি বেনামি অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। এমনই তথ্য তুলে ধরা হয়েছিল বিচারকের কাছে। সিবিআইয়ের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, ওইগুলি সব বাফার অ্যাকাউন্ট। ওই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে ঘুরপথে কোটি কোটি টাকা অনুব্রত এবং তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল লেনদেন করেছেন।
এদিন সিবিআইয়ের দাবি, এখনও পর্যন্ত ১৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকেরই দাবি, অ্যাকাউন্টগুলি তাঁদের খোলা নয় এবং টাকাও তাঁদের নয়। বিচারক জানতে চান কিভাবে অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হল? জবাবে সিবিআইয়ের দাবি, দু’দিনের মধ্যেই অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয়েছে। ব্যাংক ম্যানেজার দাবি করেছেন, তিনি শুধুমাত্র সই করেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চাপে এই কাজ করেছেন ব্যাংক ম্যানেজার, তা জানিয়েছেন বলে সিবিআইয়ের দাবি।
সমবায় ব্যাংকগুলির অ্যাকাউন্ট থেকে যে টাকা ঘুরপথে অনুব্রত মণ্ডলের অ্যাকাউন্টে গিয়েছিল সেখানে জড়িয়ে রয়েছে রাজীব ভট্টাচার্যের নামও। এই সেই রাজীব ভট্টাচার্য, যিনি ৬৬ লক্ষ টাকা অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য দিয়েছিলেন সমবায় ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে। সেই অ্যাকাউন্টে টাকা গেছে বাফার অ্যাকাউন্ট থেকে। এ থেকে স্পষ্ট হচ্ছে গরু পাচারের টাকায় ঘুরপথে বিভিন্ন খাতে খেটেছে।