Bangla24x7 Desk : এবার বিনীত গোয়েলের পুলিশ পদক ফেরানোর আবেদনে রাষ্ট্রপতি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। স্পষ্ট দাবি, রাষ্ট্রপতি যে পুলিশ পদক দিয়েছিলেন তা ফেরত নিয়ে নেওয়া হোক। আইপিএস হিসেবে দক্ষতা, কৃতিত্বের জন্য ২০১৩ সালে এবং ২০২৩ সালে বিনীত গোয়েল সর্বভারতীয় স্তরে জোড়া সম্মানে ভূষিত হন। ‘রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক’ এবং ‘পুলিশ পদক’ পান তিনি। পাশাপাশি বিনীত গোয়েল কিছু সুবিধা এবং আর্থিক পুরস্কার পেয়েছিলেন। কিন্তু বিরোধী দলনেতার দাবি, পুলিশ আধিকারিক হিসেবে এই মুহূর্তে তিনি যে গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন, তার মর্যাদা রাখতে পারছেন না। পুলিশ পদক পাওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন তিনি। আর তাই তাঁকে দেওয়া সমস্ত পদক ফেরত নেওয়া হোক। বৃহস্পতিবার এই মর্মে শুভেন্দু চিঠি পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। আইনের নির্দিষ্ট ধারা উল্লেখ করে তাঁর যুক্তি, ‘‘ওই পদকের যে নির্দেশিকা, তাতে বলা আছে, পদকের প্রাপক অসততার অভিযোগে দোষী হলে অথবা কাজের ক্ষেত্রে কাপুরুষতার পরিচয় দিলে তাঁর কাছ থেকে ওই পদক প্রত্যাহার করে নেওয়া হতে পারে।’’
অন্যদিকে , কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে হায়দরাবাদের ‘সর্দার বল্লভভাই পটেল ন্যাশনাল পুলিশ অ্যাকাডেমি’কে চিঠি পাঠালেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো। ‘আইপিএস অফিসার বিনীত কুমার গোয়েলের আচরণ সম্পর্কে উদ্বেগ এবং পুলিশ প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে প্রভাব’ শীর্ষক ওই চিঠিতে বিনীতকে ‘অযোগ্য ছাত্র’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। ন্যাশনাল পুলিশ অ্যাকাডেমি কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে বিজেপি সাংসদ লিখেছেন, ‘‘আপনাদের এক জন প্রাক্তন ছাত্র বিনীত কুমার গোয়েলের বিরক্তিকর কাজ আপনার নজরে আনতে আমি বাধ্য হচ্ছি। বর্তমানে কলকাতার পুলিশ কমিশনার হিসেবে কর্মরত। পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক ঘটনা, বিশেষ করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার তদন্তে অনিয়ম চলছে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ঘটনায় তার গুরুতর প্রতিফলন দেখা গিয়েছে। এই অ্যাকাডেমি যে নেতৃত্ব এবং মূল্যবোধের প্রশিক্ষণ দেয়, তার প্রতি অবজ্ঞার ছাপ স্পষ্ট ধরা পড়েছে। এটি কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং কর্তব্যে অবহেলার ধারাবাহিকতারই অংশ।’’