Bangla24x7 Desk : ডিসেম্বর তত্ত্বে দলের অন্দরে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। চাপের মুখে স্বীকার করে নিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সঙ্গে একপ্রকার মেনে নিলেন, এই ডিসেম্বর তত্ত্ব সম্পূর্ণই তাঁর নিজস্ব বক্তব্য ছিল। তাতে দলের অনুমোদন ছিল না। শুভেন্দুর কার্যকলাপে দলের অন্দরে যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে সেটা এদিনের বৈঠকে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
ডিসেম্বর তত্ত্ব নিয়ে বিরোধী দলনেতা নিজেই বলে দিয়েছেন,”এটা আমি বলেছি। পার্টির কেউ বলেনি। দুর্নীতি নিয়ে একটা বড় অ্যাকশন হবে। সোমবারটা বুধবার হতে পারে। এটা আমরা করবই। এটা নিয়ে গেল গেল রব তোলার কোনও কারণ নেই। কর্মীদের মধ্যে এটা নিয়ে বিভ্রান্তি না-থাকা বাঞ্চনীয়।” অর্থাৎ তাঁর মন্তব্যে বিভ্রান্তির একটি জায়গা যে তৈরি হয়েছে, সেটা একপ্রকার মেনে নিয়েছেন শুভেন্দু।
ব্যান্ডেলে বিজেপির দলীয় বৈঠকে এদিন ফের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষের কড়া বার্তার মুখে পড়তে হয় শুভেন্দুকে। সন্তোষ বিরোধী দলনেতা-সহ রাজ্য বিজেপি নেতাদের বলে দেন, সবাইকে নিয়ম মেনে রাজনীতি করতে হবে। একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। আসলে শুভেন্দু-দিলীপের মধ্যে যখন মুষলপর্ব চলছে তখনই রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ।
বিরোধী দলনেতা মেনে নিয়েছেন, এই মুহূর্তে নির্বাচনে যেতে হলে দলকে সাংগঠনিকভাবে আরও শক্তিশালী হতে হবে। তিনি বলেন, “আমাদের মিছিল-মিটিং হচ্ছে। লোক আসছে। কিন্তু, সেই লোকগুলোকে যদি বুথে ফিরিয়ে দেন, কাজ করতে চাইছে না। কারণ, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের ভয় তাঁদের মনে রয়েছে। শেষ পর্যন্ত আমরা যদি ভোটের রাজনীতিতে যাই, পঞ্চায়েত যদি জিততে চাই। ১৮ লোকসভা আসনকে যদি ২৫-এ নিয়ে চাই, তাহলে মন্ডল এবং বুথ স্তরে আরও লোক বাড়াতে হবে।”