Bangla24x7 Desk : গত বছর ১২, ১৪ এবং ২১ ডিসেম্বরের অপেক্ষা করতে বলেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরপর তিনদিনই হয়নি কোনও ধামাকা। ডাহা ফেল ‘ডিসেম্বর তত্ত্ব’! কাঁথি স্টেশন লাগোয়া মাঠে জনসভার মঞ্চে দাঁড়িয়ে আগেই ডিসেম্বর ডেডলাইনে ইতি টানেন খোদ শুভেন্দু অধিকারী। নিজের মন্তব্যের পালটা ব্যাখ্যা দেন । পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক সাংগঠনিক জেলার ভগবানপুর ১ উত্তর মণ্ডলের কর্মী সম্মেলনে আরও একবার তৃণমূলকে ডেডলাইন বেঁধে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে পালটা জবাব দিয়েছে রাজ্যের ঘাসফুল শিবির।
বিরোধী দলনেতার আরও হুঁশিয়ারি, “আমাদের সংকল্পবদ্ধ হতে হবে। মকর সংক্রান্তির আগে পৌষমাস। মলমাস চলে যাওয়ার পর আমরা শুভ কাজে নামব। তোলামূল পার্টিকে গোড়া থেকে উৎখাত করে ফেলতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপোর পরিবারবাদ, সীমাহীন দুর্নীতি, তুষ্টিকরণ, তোষণের রাজনীতি আমরা খতম করবই।”
‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ নামে নয়া কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছে তৃণমূল। পথচলা শুরু হয়েছে ‘দিদির দূত’ অ্যাপের। শাসকদলের নয়া কর্মসূচিকে বিঁধতে ভোলেননি নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। ‘দিদির দূত’ অ্যাপকে ‘দিদির ভূত’ বলে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু। শুভেন্দুর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
শুভেন্দু বলেন, “তৃণমূলের চোরেদের সাফাই করতে হবে। বড় চোর ডাকাতদের ডিসেম্বরে সাফাই করতে পারিনি। তবে এর মধ্যে করব। বড় ডাকাতদের আমরা তুলব। ছোট ডাকাতদের আপনারা একদম গোড়া থেকে তুলে ফেলবেন। সব গ্রাম থেকে চোরেদের তাড়াতে হবে। চোরেদের তাড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রবাদী ডবল ইঞ্জিন সরকার তৈরি হবে। যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশে, হেমন্ত বিশ্বশর্মা অসমে যেমন দেশবিরোধী, মানুষের উপর অত্যাচারকারী, মহিলা নির্যাতনকারী শক্তিকে সাফ করছেন, আমরাও পশ্চিমবঙ্গকে সাফ করব।”