Bangla24x7 Desk : ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে বুধবার আদালতে পেশ করা হয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। এ দিন ভার্চুয়ালি হাজির করা হয় তাঁদের। অর্থাৎ জেলে বসেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজিরা দিচ্ছেন তাঁরা। জেল কর্তৃপক্ষের দাবি, নিরাপত্তার স্বার্থেই তাঁদের ভার্চুয়ালি হাজির করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে তাঁর মৌলিক অধিকার খর্ব হচ্ছে বলে আদালতে দাবি করলেন পার্থ। তাঁর আইনজীবী জানান, সশরীরের হাজিরা দিতে চান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শুধু পার্থ নয় , একই অনুরোধ করেছেন দুর্নীতি মামলায় অপর অভিযুক্ত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবীও।
শুনানির শুরুতেই আরও একবার যেকোন শর্তে জামিনের আবেদন জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীর। বলা হয়, এভাবে ভারচুয়ালি হাজিরার আবেদন আসলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সাংবিধানিক অধিকারে হস্তক্ষেপ। সশরীরে হাজিরা দেওয়া তাঁর মৌলিক অধিকার। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিভিন্ন অসুস্থতা রয়েছে। যেমন তাঁর পা ফুলে গিয়েছে। হিমোগ্লোবিন কমে গিয়েছে। ইঞ্জেকশন দেওয়া হচ্ছে। কারও সাহায্য ছাড়া শৌচালয়েও যেতে পারেন না। অথচ জেলে তাঁর কোনও সহযোগী নেই। তাঁর অবিলম্বে চিকিৎসা প্রয়োজন। উনি ১৭টি করে ওষুধ খান। দরকারে পুলিশি নজরদারিতে তাঁকে গৃহবন্দি করে রাখারও প্রস্তাব দেওয়া হয়।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজে বলেন, “অপা ইউটিলিটি সার্ভিসেসের অংশীদার ছিলাম না। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।” পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী জানান, উনি এসএসসি বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। মন্ত্রীর আত্মীয়দের নামে বিপুল সম্পত্তির কথা বলা হচ্ছে। তবে তা ঠিক নয়। তাঁর ফ্ল্যাট থেকে টাকা, গয়নাগাটি, বিদেশি মুদ্রা কিছুই পাওয়া যায়নি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বারবার ইডি’র তরফে বলা হচ্ছে আমি তদন্তে অসহযোগিতা করছি। আমি চোর নই। কীভাবে বলব চোর ? কীভাবে অসহযোগিতা করছি ? কী ধরনের নথি পাওয়া গিয়েছে দেখানো হোক। বিভিন্ন সংস্থা ডামি ডিরেক্টরের কথা বলা হচ্ছে। তারা কারা আমাকে বলা হোক। বলা হচ্ছে, আমার পরিবারের সদস্যরা নানা সংস্থার ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য। আমার পরিবারে কোনও সদস্য নেই। স্ত্রী প্রয়াত। আমার মেয়ে আমেরিকায় থাকে। খুব বেশি আসা যাওয়া নেই।”
উল্লেখ্য, ইডি হেফাজতে থাকাকালীন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যখন পার্থ ও অর্পিতাকে জোকার ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেই সময় এক মহিলা জুতো ছুড়ে মারেন পার্থকে। ওই ঘটনার পর প্রাক্তন মন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ে। তবে তারপরও আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পার্থকে।