Bangla24x7 Desk : রাত পোহালেই হিমাচল প্রদেশে নির্বাচন। যে রাজ্যে গত কয়েক দশক ধরে পাঁচ বছর অন্তর অন্তর সরকার বদলের রীতি চলে আসছে। কিন্তু বিজেপি এবার সেই রীতি বদলাতে মরিয়া। ক্ষমতায় ফিরছে দল। আত্মবিশ্বাসী গেরুয়া শিবির। প্রচারের দু’দিন আগেই পাহাড় ছেড়েছেন হেভিওয়েট নেতারা। আবার ‘বিনা যুদ্ধে না দিব সুচগ্র্য মেদিনী’ মনোভাব প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেসের। তাই শেষ সময় পর্যন্ত মাটি কামড়ে পড়ে রইলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। জনসভা থেকে বিজেপিকে বিঁধলেন তিনি।

প্রায় সব জনমত সমীক্ষা বলছে হিমাচলে নিরঙ্কুশভাবে ক্ষমতায় ফিরবে বিজেপি। প্রচারের বহরও তেমনই ইঙ্গিত করছে। ভোট ঘোষণার পর থেকেই প্রচারে ঝাঁপিয়েছিল গেরুয়া শিবির। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আবার দলের সর্ভভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা থেকে ভূমিপুত্র অনুরাগ ঠাকুর প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন। অন্যদিকে , ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রায় ব্যস্ত থাকায় হিমাচলে প্রচারেই যাননি রাহুল গান্ধী। দায়িত্ব ছেড়েছেন বোন প্রিয়াঙ্কার ওপর। এছাড়াও ছত্রিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল, সাংসদ রাজীব শুক্লা ও শচিন পাইলটরা হিমাচলের এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে ছুটে বেরিয়েছেন। এদিন সতৌনে জনসভা করেন সোনিয়া কন্যা। তারপর সিমলাতে পরিবর্তন প্রতিজ্ঞা মিছিল করেন।

দফায় দফায় পাহাড়ে গিয়েছেন মোদি-শাহরা। কারণ, এবার অগ্নিপথ প্রকল্প চিন্তায় ফেলেছে গেরুয়া শিবিরকে। পরিসংখ্যান বলছে, হিমাচলের প্রতি পরিবারের একজন ভারতীয় সেনায় কাজ করেন। তাই অগ্নিপথ প্রকল্প জের ভোটবাক্সে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। মানুষের মন বুঝতেই পদ্ম শিবিরের নেতারা মাটি কামড়ে পড়েছিলেন। এই প্রকল্প সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে ইচ্ছুক যুবকদের সাহায্য করবে বলে বারবার বোঝানোর চেষ্ঠা করেন মোদি-শাহরা। তবে ভোটবাক্সে অগ্নিপথের নেতিবাচক প্রভাব না পড়লে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সুবিধা হবে বলেই মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *