Bangla24x7 Desk : তাওয়াং সংঘর্ষের পরেই চিন সীমান্তে মহড়া শুরু করেছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। একাধিক বায়ুসেনাকে ঘাঁটিতে সতর্কতা জারি করা হয়। সুখোই, রাফালের মতো যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয় চিন সীমান্তে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর মহড়ার মাত্রা বাড়িয়ে দেয় বায়ুসেনা। তাওয়াং এলাকা থেকে পর্যটকদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে বৃহস্পতিবার বায়ুসেনার তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, এই মহড়ার সঙ্গে তাওয়াং সংঘর্ষের কোনও যোগ নেই।

শুধু সীমান্তে মহড়াই নয়, অসমের তেজপুর, ছাবুয়ায় সুখোই-৩০ বিমান মোতায়েন করা হয়। গোটা অসম সীমান্তেই মোতায়েন S-400। ২০২১ সালে ফ্রান্স থেকে ভারতে আসা রাফালে বিমানের মধ্যে দ্বিতীয় স্কোয়াড্রনটি রাখার কথা ছিল উত্তরবঙ্গের হাসিমারা বায়ুসেনা ছাউনিতে। ভারত-চিনের মধ্যে এই সীমান্ত বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এই মুহূর্তে সেখানে রয়েছে ২টি রাফালে বিমান। তাদের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

এই মহড়ার সঙ্গে তাওয়াং সংঘর্ষের সম্পর্ক নেই। আগে থেকেই এই মহড়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, তাওয়াংয়ের ঘটনার পরেই জানা গিয়েছিল, বেশ কিছুদিন ধরেই ভারতের সীমানায় চিনা যুদ্ধবিমানের আনাগোনা বেড়ে গিয়েছে। আক্রমণের আশঙ্কা থেকেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LaC) সংলগ্ন এলাকায় একাধিক যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে ভারতীয় বায়ুসেনা। লালফৌজকে বিভ্রান্ত করতে মহড়ার ধরনেও নানা রকমের বদল আনা হয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *