Bangla24x7 Desk : কথা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের মৎস্যজীবীদের ‘সমুদ্র সাথী’ প্রকল্প উপহার দিয়েছিলেন তিনি। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুসারে , চলতি বছরের ৮ ই ফেব্রুয়ারি রাজ্য বাজেটে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলা পূর্ব মেদিনীপুর , উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণার মৎস্যজীবীদের জন্য ‘সমুদ্র সাথী’ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। যে ২ মাস ফিসিং বন্ধ থাকে সেই ২ মাস মৎস্যজীবীদের জীবিকা অর্জনের জন্য প্রত্যেক মৎস্যজীবী পরিবারকে মাসিক পাঁচ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু কোথায় কি ? রাজ্যের হিসাব অনুযায়ী প্রায় ৩ লাখ রেজিস্টার্ড মৎস্যজীবী থাকলেও ‘সমুদ্র সাথী’ প্রকল্পে মাত্র ৬ মাসের মধ্যে বেনিয়মের অভিযোগ। ‘সমুদ্র সাথী’ প্রকল্পে স্বজনপোষণের অভিযোগ। ১৫ ই জুন থেকে বন্ধ আবেদন করার অনলাইন পোর্টাল , যার ফলে অথৈ জলে রাজ্যের প্রায় ২ লাখ মৎস্যজীবী পরিবার। অভিযোগ , যারা কোনদিন সমুদ্রে যায়নি , নদীর মুখ দেখেনি – তাঁদের নাম জমা পড়েছে ‘সমুদ্র সাথী’ প্রকল্পের খাতায়। দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে এদের ‘সমুদ্র সাথী’ কার্ড হয়েছে , পঞ্চায়েত থেকে ব্লক থেকে এই জিনিসগুলো হয়েছে। সমুদ্রে গেলেও টাকা পাওয়া যায় না , আবেদন করলেও আসেনি টাকা।’’
দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরামের সম্পাদক মিলন দাস জানান , ‘প্রায় ২০ হাজারের অধিক মৎস্যজীবী থাকলেও সরকারি হিসাব অনুসারে সামুদ্রিক মৎস্যজীবীদের জন্য মাত্র ২ হাজার ৫৮ টি কার্ড ইস্যু হয়েছে। চাঞ্চল্যকর তথ্য এটাই যে , এই ২ হাজার ৫৮ টি কার্ডের মধ্যে প্রায় ৫০% কার্ড ইস্যু হয়েছে অ-মৎস্যজীবীদের নামে। যদিও ‘সমুদ্র সাথী’ প্রকল্পে বেনিয়মের অভিযোগে শাসকদলকে বিঁধতে ছাড়েনি বিরোধী বিজেপি। তৃণমূল সরকারকে ফেসিয়াল সরকার , ঘোষণা সর্বস্ব সরকার বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। কোনদিন মৎস্যজীবীদের কথা কেউ ভাবেনি , এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন করেছে। শুরুতে এমনটা হতেই পারে” – সাফাই দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। গত লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে প্রচারে এসে রাজ্যের মৎস্যজীবীদের দুর্দশার কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে রাজ্যের ঘোষণার মাঝেই আবারো উঠে এল স্বজনপোষণ , বেনিয়মের অভিযোগ।