Bangla24x7 Desk : রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও শাসক দলের আর এক নেতা গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে আরও বেশি করে সুর চড়িয়েছেন বিরোধী দল তথা বঙ্গ বিজেপির নেতারা। শাসক দলের আরও অনেক নেতা গ্রেফতার হতে পারেন, এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন কেউ কেউ। সেই তরজার মাঝেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভামঞ্চ থেকে সরাসরি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম নিয়ে আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু শুভেন্দু নয়, দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদারকেও নিশানা করলেন তিনি।
সদ্য গরু পাচাক-কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। আর কয়লা পাচার-কাণ্ডে ইডির নোটিস দেওয়া হয়েছিল অভিষেককেও। এ দিন সভামঞ্চ থেকে অভিষেক কেন্দ্রকে তোপ দেগে বলেন, ‘বিএসএফের নাকের ডগা দিয়ে গরু চুরি হয়, কয়লা চুরি হয়।’ সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিশানা করে অভিষেক দাবি করেন, পাচারের টাকা গিয়েছে দিল্লিতে। এই পাচার-কাণ্ডকে ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেলেঙ্কারি’ বলা উচিত বলেও মন্তব্য করেন অভিষেক।
এ দিন কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে ফের একবার সরব হন অভিষেক। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি দাবি করেন, ২১ জুলাইয়ের পর যে ভাবে কেন্দ্রীয় সংস্থা তল্লাশি চালিয়েছে, সে ভাবেই সোমবারের এই সভার পরও কিছু না কিছু করা হতে পারে। তবে অভিষেক এ দিন বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যাঁরা ভাবেন মমতাকে কুৎসা করে আটকে রাখবেন, তাঁরা মমতার সঙ্গে লড়াই করার আগে যুব সংগঠনের সঙ্গে মাঠে নামুক। ১০-০ গোল দিয়ে মাঠের বাইরে বের করে দেব।’ দুজনকে গ্রেফতার করা হলেও তৃণমূল শেষ হয়ে যাবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে যে সভার আয়োজন করা হয়েছিল, সেই সভা থেকে অভিষেক বলেন, ‘এরা কখনও নাম নিয়ে কথা বলেন না, কারণ বুকের পাটা নেই। আমি নাম নিয়ে বলছি, বেইমান, গদ্দার, ঘুষখোর শুভেন্দু অধিকারী। বুকের পাটা থাকলে আমার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা কর।’
অভিষেকের দাবি, তাঁকে যদি বিজেপি নেতারা ‘তোলাবাজ’ বলে উল্লেখ করেন, তাহলে তিনি হাইকোর্টে যাবেন। তিনি আরও বলেন, ‘ভাববাচ্যে কথা তো সবাই বলে, ভাববাচ্যের কী ক্ষমতা আছে? আমি নাম নিয়ে বলছি, দিলীপ ঘোষ গুণ্ডা, শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার গদ্দার। এরা বাংলাকে ভাগ করতে চায়। তোমার ক্ষমতা থাকলে আমার বিরুদ্ধে মামলা করবে।’