Bangla24x7 Desk : ‘কু-চক্রী বিরূপাক্ষ কাকদ্বীপ থেকে দূর হটো” – প্রবল উত্তেজনা কাকদ্বীপ হাসপাতালে। প্ল্যাকার্ড নিয়ে কাকদ্বীপ হাসপাতালে জমায়েত এলাকার বাসিন্দাদের। তাঁদের দাবি, আর জি কর কাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত বিরূপাক্ষকে কাজে যোগ দিতে দেওয়া হবে না। শোনা যায়, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজেও নাকি চলত তাঁর ‘দাদাগিরি’, ‘থ্রেট কালচার’। বিতর্কে নাম জড়ানো চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে স্বাস্থ্যদপ্তর। অবশেষে বদলি । বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে সরিয়ে পাঠানো হয়েছে কাকদ্বীপ হাসপাতালে। ভাইরাল হয়েছিল ‘হুমকি’ অডিও। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, ৯ আগস্ট সকালে নাকি আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সেমিনার হলে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
ক্ষোভে ফেটে পড়েন সেখানকার বাসিন্দারা। হাসপাতাল চত্বরে শুরু হয় বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীদের কথায়, “বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কেন স্বাস্থ্যদপ্তর কোনও ব্যবস্থা করল না ? কেন তাঁকে কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে বদলি ?” তাঁদের সাফ কথা, আর জি কর হাসপাতালের দুর্নীতি, চিকিৎসক পড়ুয়ার খুন ও ধর্ষণের ঘটনার তথ্যপ্রমাণ ‘লোপাটকারী’ বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের উপযুক্ত বিচার না হওয়া পর্যন্ত হাসপাতালে যোগ দিতে দেওয়া হবে না। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, ৯ আগস্ট সকালে নাকি আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সেমিনার হলে উপস্থিত ছিলেন তিনি। এর পর তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। স্বাস্থ্য দপ্তরের নোটিসে জানানো হয়েছে, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের প্যাথোলজি বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালের সিনিয়র রেসিডেন্ট পদে যোগ দেবেন তিনি।
উল্লেখ্য, নির্মল মাজি ঘনিষ্ঠ হিসেবেই চিকিৎসক মহলে পরিচিত তিনি। সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির পরে চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে নিয়েও প্রশ্ন উঠছিল। অনেকেই অভিযোগ করছিলেন চিকিৎসক বিশ্বাস হুমকি দেওয়ার সঙ্গে জড়িত। অবশেষে বিতর্কের মধ্যেই বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে বদলি করা হল। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের প্যাথোলজি বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে এই বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আরজি কর কাণ্ডের পরেই একটি হুমকি দিয়ে অডিও ভাইরাল করা হয়, অনেকেরই অভিযোগ ওই অডিও বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের, যদিও ওই অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি Bangla24x7। সেই সঙ্গে বিরূপাক্ষের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠেছিল। বিতর্কের মাঝেই পদক্ষেপ স্বাস্থ্য ভবনের।