Bangla24x7 Desk : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুরুচিকর আক্রমণ। গ্রেপ্তার আইনজীবী তথা কংগ্রেস মুখপাত্র কৌস্তভ বাগচি। ভোররাতে তাঁর বারাকপুরের বাড়িতে তল্লাশি চালায় বড়তলা থানার পুলিশ। তারপর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই গ্রেপ্তারির কথা জানান তিনি। পুলিশি ধরপাকড়ের তীব্র সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্থ বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন কংগ্রেস নেতা। তাঁর বাড়িতে চলে জোর তল্লাশি। শেষমেশ গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। বর্তমানে তাঁকে বড়তলা থানায় নিয়ে গিয়েছে পুলিশ।
ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০(বি), ১৫৩, ৩৫৪(এ), ৫০৪, ৫০৫, ৫০৬, ৫০৯ ধারায় মামলা রুজু করেছে। এদিকে, দলীয় নেতার গ্রেপ্তারির খবর পাওয়ামাত্রই কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা বড়তলা থানার সামনে ভিড় জমান। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু ঠিক কী কারণে গ্রেপ্তারি ? কৌস্তভের দাবি , সাগরদিঘি উপনির্বাচনে হারের পর কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই পালটা জবাব দেন কৌস্তভ। সে কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলেই দাবি কৌস্তভের।
ছেলে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার বলেই দাবি কৌস্তভের বাবা কুশল বাগচির। এদিন কৌস্তভকে পেশ করার পর থেকেই ব্য়াঙ্কশাল কোর্টে আইনজীবীদের হই হট্টেগোল শুরু হয়ে যায়। কৌস্তভ বাগচির গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে সরব হন আইনজীবীরা। তদন্তকারী অফিসার ও ওসিকে শোকজের দাবিতে শুনানির মাঝেই হট্টগোল শুরু করে দেন প্রায় শ’খানেক আইনজীবী। বিরক্ত হয়ে এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে যান বিচারক। পরে অবশ্য ফিরে এসে রায়দান করেন বিচারক।
তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন অবশ্য পুলিশের এই পদক্ষেপ সময়োপযোগী এবং সঠিক পদক্ষেপ বলেই উল্লেখ করেছেন। জামিন পেলেন কৌস্তভ বাগচি। ১ হাজার টাকার ব্য়ক্তিগত বন্ডে শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন তিনি। তবে প্রতিদিন কৌস্তভকে থানায় হাজিরা দিতে হবে। আগামী ৫ এপ্রিল আদালতে হাজিরা দিতে হবে কংগ্রেস নেতাকে। কৌস্তভকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতে চেয়েছিল পুলিশ। আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “এই মামলায় অভিযুক্ত তিনি আইনজীবী। ইয়ং। এমন নয় যে আইনজীবী ক্রিমিনাল অফেন্স করেন না। কিন্তু এগুলো পুলিশ অ্যাট্রোসিটির স্বীকার। প্রথমে ডিএ প্রতিবাদ করায় একজন গ্রেফতার করা হল। তারপর নওসাদ। এখন এই আইনজীবী।” আইনজীবীদের দাবি, পুলিশের এই ভূমিকায় আতঙ্কিত আইনজীবী। আদালতে পদক্ষেপ করার দাবি জানান তাঁরা।