Bangla24x7 Desk : SSC’র ব্যর্থতা ! শীর্ষ আদালতে ‘সুপ্রিম’ শুনানিতে ঝুলেই রইল ২৬০০০ চাকরি বাতিলের মামলা ! স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। যাঁদের নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সওয়াল করতে গিয়ে এদিন এসএসসি-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ সংক্রান্ত ওই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট উল্লেখ করেছিল, যোগ্যদের বাছাই করতে না পারলে, পুরো প্যানেল বাতিল করা যাবে না। দু মাস পর ফের সেই মামলার শুনানি হলেও তা ঝুলেই রইল। তিন সপ্তাহ পর ফের হবে শুনানি। মামলার সারসংক্ষেপ জানতে চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি। মে মাসের পর আজ, মঙ্গলবার ফের শুনানি ছিল শীর্ষ আদালতে।
মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পক্ষের বক্তব্য শোনার জন্য আলাদা আলাদা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে রাজ্য সরকার, এসএসসি, রিট পিটিশনার , যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, সেই পক্ষ। এছাড়া যাঁদের বিরুদ্ধে এখনও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, তাঁদের বক্তব্য, সিবিআইয়ের বক্তব্য এবং যাঁদের নথি যাচাই হয়নি , তাঁদেরও মতামত শোনা হবে। শীর্ষ আদালত সূত্রে খবর, এই পাঁচ পক্ষ ছাড়া অন্য কোনও পক্ষ বক্তব্য জানাতে চাইলে, লিখিতভাবে তা জানাতে পারবে। তবে তা পাঁচ পাতার মধ্যেই রাখতে হবে। গত ৭ মে এই সংক্রান্ত মামলা সুপ্রিম কোর্টে উঠলে প্রধান বিচারপতি একাধিক প্রশ্ন তোলেন। পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক হয় ১৬ জুলাই। এদিন সব পক্ষের বক্তব্য শুনবেন বলে জানিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি।
এদিন রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেন রাকেশ দ্বিবেদী। স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে সওয়াল করেন জয়দীপ গুপ্তা। প্রধান বিচারপতি উল্লেখ করেছেন, রাজ্য আর স্কুল সার্ভিস কমিশনের বক্তব্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যাবতীয় তথ্য এক জায়গায় আনার জন্য চারজন নোডাল আইনজীবীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আস্থা শর্মা, শালিনী, কুণাল চট্টোপাধ্যায় ও পার্থ সিটকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে এই কাজ শেষ করতে হবে। চাকরি প্রার্থীদের আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, সিবিআইকে রিপোর্ট দিতে বলুন। নবম, দশম, একাদশ, দ্বাদশ, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি- সবকটি ক্ষেত্রে যাদের চাকরি চলে গিয়েছিল তাদের মামলা শোনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।