বাবলু হাসান লস্কর , কুলতলি : তিনি বাঘ মামা। বিস্তীর্ণ সুন্দরবনে তার অবাধ গতিবিধি। নিজের মর্জিতে চলাফেরা করাই তার দস্তুর। তবে কখনও কখনও সেই বাঘ মামা যেন পথভোলা পথিক হয়ে যায়। নিজের এলাকা ছেড়ে চলে আসে মনুষ্য সমাজে। শুরু হয় বাঘে-মানুষে টানাটানি। বাঘে মানুষের দ্বন্দ্ব কমাতে সরকারি উদ্যোগে নেওয়া হয় একাধিক ব্যবস্থা। লোকালয়ে বাঘের দাপট কমাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনদফতরের এলাকাধীন কুলতলি বিটের প্রায় ২৬ কিলোমিটার এলাকা ফেন্সিং দিয়ে ঘেরার কাজ চলছে।

বিশেষ তদারকি DFO এর সাথে ADFO অনুরাগ চৌধুরী, রাইদিঘি রেঞ্জার সুবায়ু সাহা। শীত পড়লে লোকালয়ে দেখা মেলে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার। গত বছর ব্যাঘ্র সুমারির পর বাঘের সংখ্যা বাড়ছে প্রাথমিক ধারণা DFO মিলন মণ্ডলের। বাঘ ও মানুষের মাঝে ব্যবধান হিসেবে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায় লাগানো হয়েছে নাইলনের জাল। প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রায়ই সেই জাল ছিঁড়ে যায়। তাছাড়া অবৈধ ভাবে যেসব মৎস্যজীবী কাঁকড়া ধরতে যান , তাদের অনেকেই সেই নাইলনের জাল কেটে ঢুকে পড়েন সুন্দরবনে। সবকিছু বনবিভাগের এলাকায় ছেঁড়া জাল মেরামতের পাশপাশি অন্য জায়গায় জোরকদমে শুরু হয়েছে ফেন্সিং লাগানোর কাজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *