Bangla24x7 Desk : বকখালির জঙ্গলে দাবানল , আগুনের গ্রাসে পুড়ে চাই ৩০ বিঘা জঙ্গল এলাকা। পর্যটনকেন্দ্র বকখালির বিশালাক্ষী মন্দির লাগোয়া বনাঞ্চলের কয়েক’‌শ বিঘা এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে পুড়ছে বড় বড় ঝাউ ও অন্যান্য গাছ।  ক্রমে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে গোটা এলাকা জুড়ে। সিভিল ডিফেন্স, বনকর্মী, ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগিয়েছেন। আশপাশে জল না থাকায় সাদা বালি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। খবর দেওয়া হয়েছে দমকলে।

স্থানীয় সূত্রে খবর , এদিন বিকাল সাড়ে চারটে নাগাদ বকখালি পর্যটনকেন্দ্র লাগোয়া ফরেস্ট রিজার্ভে আগুন লাগে। আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে  আগুনের তাপে জঙ্গল ছেড়ে পালাতে থাকে বন্যপ্রাণীরা। সোমবার বিকেল চারটে নাগাদ সমুদ্রতটে ডিউটি করার সময় সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা প্রথম ধোঁয়া দেখতে পান।  এরপর ১৬ জনের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডিএফও মিলন মণ্ডল বনকর্মীদের ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর নির্দেশ দিয়েছেন।

আগুন লাগার খবর পেয়ে  ঘটনাস্থলে পৌঁছন কাকদ্বীপ মহকুমার মহকুমা শাসক অরণ্য বন্দ্যোপাধ্যায় , সাগরের  এসডিপিও দীপাঞ্জন চ্যাটাজ্জী  , নামখানার বিডিও শান্তনু সিংহ ঠাকুর , বকখালি উপকূলরক্ষী বাহিনী সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। তবে ঘটনাস্থলে দমকল পৌঁছলেও জঙ্গলের গভীরতা এতটাই বেশি হওয়ায় দমকলকে প্রবেশ করতে বেগ পেতে হচ্ছে বলেই জানা গেছে। তবে জঙ্গলের একেবারেই ভিতরে পৌঁছে গিয়েছেন কাকদ্বীপ মহকুমার মহকুমা শাসক অরণ্য বন্দ্যোপাধ্যায় , নামখানার বিডিও শান্তনু সিংহ ঠাকুর। তবে কীভাবে নেভানো যাবে আগুন ? দমকল সূত্রে খবর , ড্রেজিং পদ্ধতিতে আগুন নেভানোর চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *