Bangla24x7 Desk : নওশাদ সিদ্দিকির সঙ্গে দেখা করতে লালবাজারে ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা ও তাঁদের অনুগামীরা। সেখানে প্রথমে তাঁদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন। তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে । অবশেষে লালবাজারে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছেন তিন পীরজাদা। এদিকে আইএসএফের উপর হামলার ঘটনায় কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা।
এক পীরজাদার বলেন, “আমরা মমতাকে নবান্নে বসিয়েছি। আর ফুরফুরার পীরজাদার উপর অন্যায় হচ্ছে। রাজনীতি সবাই করতে পারে, কিন্তু অন্যায় মেনে নেব না। আমাদের তিনভাইকে ঢোকার অনুমতি দিতেই হবে। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন হবে।” এরপর পুলিশের তরফে তিন পীরজাদা নওশাদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পান। এ প্রসঙ্গে বাম নেতা শমীক লাহিড়ি বলেন, “যার গাড়ি ভাঙল তাঁকেই গ্রেপ্তার করা হল। এর প্রতিবাদ হবে। আমরা সঙ্গে আছি।” এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “যত অশুভ শক্তি এক জায়গায়। আগে ছিল বাম-কংগ্রেস। এখন বিজেপি। যাদের নীতি নেই, তারা গোলমাল করছে। সস্তার রাজনীতি চলছে।” তিনি আরও বলেন, “ধর্মগুরুদের ধর্ম নিয়েই থাকা উচিত। তাঁরা রাজনীতিতে না আসাই ভাল।”
ভাঙড়ের বিধায়ক তথা ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকির পুলিশ হেজাতের বিরোধিতায় গতকালই সরব হয়েছিলেন কাশেম সিদ্দিকি। মঙ্গলবার দুপুরে তিন পীরজাদা ও তাঁদের অনুগামীরা হাজির হন লালবাজারে। তাঁদের অভিযোগ, নওশাদের মাথায় চোট রয়েছে। তাঁর প্রয়োজনীয় শুশ্রুষা হয়নি। তিনদিন ধরে একই পোশাক পড়ে রয়েছেন। ফলত তাঁদের নওশাদের সঙ্গে দেখা করতে দিতে হবে। নিজেদের দাবিতে লালবাজারে সুর চড়ান পীরজাদারা।