Gangasagar Nun IAS : গঙ্গাসাগরে স্বপ্নপূরণ ! নাগা সন্ন্যাসীর ডেরা থেকেই IAS হওয়ার স্বপ্ন ২০ বছরের সন্ন্যাসিনীর ?

Bangla24x7 Desk : Gangasagar Nun IAS : গঙ্গাসাগরে স্বপ্নপূরণ ! নাগা সন্ন্যাসীর ডেরা থেকেই IAS হওয়ার স্বপ্ন ২০ বছরের সন্ন্যাসিনীর ? গঙ্গাসাগরের সন্ন্যাসিনী রাজেশ্বরী ভারতী , ঘর বলতে গঙ্গাসাগরের কপিল মুনির আশ্রম সংলগ্ন নাগা সন্ন্যাসীর আখড়া। সেটাই একমাত্র আশ্রয়। কিন্তু আচমকা হাজার হাজার সন্ন্যাসিনীর মধ্যে কেন রাজেশ্বরী ভারতীর কথা বলা হচ্ছে ? আলাদা কারণ তো কিছু একটা রয়েছে। আর আলাদা কারণ যেটা সেটা শুনলে চমকে যাবেন আপনিও। কারণটা হল IAS হওয়ার স্বপ্ন। আজ্ঞে হ্যাঁ ! সন্ন্যাসিনীর IAS হওয়ার স্বপ্ন। গঙ্গাসাগরের কপিল মুনির আশ্রম সংলগ্ন নাগা সাধুর আখড়া থেকেই দেশের প্রশাসনের সর্ব্বোচ্চ পরীক্ষায় সাফল্য পাওয়ার বীজ বপন করার চেষ্টা গঙ্গাসাগরের সন্ন্যাসিনী রাজেশ্বরী ভারতীর।

গঙ্গাসাগরের নাগা সন্ন্যাসী মহাদেব ভারতী – মুখভর্তি সাদা গোঁফ-দাড়ি , তাঁর কাছেই ২০ বছরের আশ্রয়ে সন্ন্যাসিনী রাজেশ্বরী ভারতী। কিন্তু কীভাবে নাগা সন্ন্যাসী মহাদেব ভারতীর কাছে এলেন সন্ন্যাসিনী রাজেশ্বরী ? পিছনে রয়েছে আরও এক কারণ। রাজেশ্বরীর বয়স যখন মাত্র ১১ দিন অর্থাৎ সদ্যেজাত রাজেশ্বরীকে ফেলে চলে যান তাঁর বাবা-মা। কিন্তু জন্ম দেওয়া বাবা-মা ছেড়ে চলে গেলে কি হবে ? “যার কেউ নেই , তাঁর ঈশ্বর আছেন” – এই কথাটি অক্ষরে অক্ষরে প্রতিফলিত হয়েছে রাজেশ্বরীর জীবনে। মাত্র ১৩ মাস বয়স থেকে রাজেশ্বরীর যাবতীয় পৃথিবী বলতে নাগা সন্ন্যাসী মহাদেব ভারতী। তাঁর কাছেই আশ্রয় , আশ্রয়দাতা পিতার সেবা আর ধ্যানজ্ঞান সাথে মন দিয়ে লেখাপড়া – এটাই ছিল রাজেশ্বরীর মূল মন্ত্র। কিন্তু আরও কিছু বোধহয় অপেক্ষা করছিল রাজেশ্বরীর জন্য।

Gangasagar Nun IAS : গঙ্গাসাগরে স্বপ্নপূরণ ! নাগা সন্ন্যাসীর ডেরা থেকেই IAS হওয়ার স্বপ্ন ২০ বছরের সন্ন্যাসিনীর ?

Read More : Tourist hub : অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ! পর্যটনের পীঠস্থান ‘এই দেশে’ ভারতের ‘১০০ টাকা’ ‘২০০০ টাকার’ সমান !

বছর দুয়েক আগে মেরুদণ্ডে আঘাত পান রাজেশ্বরী। বর্তমানে কিছুটা সুস্থ মুম্বইয়ের বাসিন্দা রাজেশ্বরী। কিন্তু স্বপ্ন দেখা তো আর থেমে নেই , স্বপ্নপূরণের জন্য লক্ষ্য স্থির – তাই তো নাগা সন্ন্যাসীর আখড়া থেকেই নতুন উদ্যমে পড়াশোনায় মন রাজেশ্বরীর। কিন্তু গঙ্গাসাগরে নাগা সন্ন্যাসী মহাদেব ভারতীর ডেরা কোথায় ? রাজ্য সরকারের তৈরি করা ঘরেই গুরু মহাদেব ভারতীর পাশে জায়গা পেয়েছেন রাজেশ্বরী। সেখানেই চলছে স্বপ্নপূরণের জন্য সাফল্যের বীজ বপনের কাজ। গুরু মহাদেব ভারতীর কাছে কৃতজ্ঞ রাজেশ্বরী। কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষাটাই খুঁজে পাননি তিনি। বাবা কপিল মুনির আশীর্বাদ সাথে অদম্য জেদ আর হার না মানা লড়াই – দেশের প্রশাসনের সর্ব্বোচ্চ পরীক্ষায় সাফল্য পাওয়ার রাস্তাটা একদিন ঠিকই খুঁজে পাবেন , এমনটাই আশা গঙ্গাসাগরের সন্ন্যাসিনী রাজেশ্বরী ভারতীর।