Bangla24x7 Desk : গার্ডেনরিচে নাসের আহেমদ খান নামে এক পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এখনও পর্যন্ত সাত কোটি টাকারও বেশি উদ্ধার হয়েছে। টাকা গোনার কাজ এখনও চলছে। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত নাসের খানের ছেলে আমির খান। ইডির তরফে জানানো হয়েছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পার্ক স্ট্রিট থানায় একটি এফআইআর করা হয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই এদিন কলকাতার ছয় জায়গায় হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পৃথক পৃথক দল। ইডি জানিয়েছে, ‘ই-নাগেট’ নামে একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপ ব্যবহার করে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল নাসেরের ছেলে আমির খান।

শুক্রবার প্রতারণা নিয়ে সরব হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। একটি বৈঠক ডাকেন তিনি। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থ সচিব, আরবিআই-এর প্রতিনিধি এবং অন্যান্যরা। ওই বৈঠকে একটি ত্রিস্তরীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রথমত, ইডি অভিযান চালাবে। দ্বিতীয়ত, যাদের জড়িত পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তৃতীয়ত, এগুলি কীভাবে বন্ধ করা যায়।তারপরই ইডির অভিযানে এই বড়সড় সাফল্য। টাকা উদ্ধারের ঘটনায় মন্তব্য করেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বলেন, ‘ ‘আইটি রেড, ইডি রেড করে বোঝাতে চাইছে ব্যবসা বাংলায় করো না। ব্যবসা করতে গেলে আমাদের রাজ্যে চলে এসো। এখানে থাকলে আমরা এইভাবে ব্যবসায়ীদের আক্রান্ত করব। এর মাধ্যমে বাংলার অর্থনীতিকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে আমার মনে হয়।’

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘তৃণমূলের রাজত্বে পশ্চিমবঙ্গে আপনি যেখানে হাত দেবেন সেখানেই টাকা পাবেন। বাংলায় কালো টাকা উড়ে বেরাচ্ছে। খাটের তলায় এখন কোটি-কোটি টাকা উদ্ধার হচ্ছে। কখনও মাদক ব্যবসায়ীর বাড়ি, কখনও মাছ ব্যবসায়ী কখনও আবার অপার টাকা উদ্ধার হচ্ছে। ওদিকে আবার অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তির পর সম্পত্তি পাওয়া যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে যে লুঠের রাজত্ব এবং সেই ভাগাভাগি কে কতটা পাচ্ছে তার তর্ক-বিতর্ক করে লাভ নেই। গোটা বাংলার সর্বনাশ হয়ে গেছে। যে বাংলা সংস্কৃতীর দিক থেকে এগিয়ে ছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে সেই বাংলার কী অবস্থা হয়ে গিয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *