Bangla24x7 Desk : বৃদ্ধাকে খুনের ঘটনায় ধৃত তৃণমূল কর্মীকে পুলিশের কবলমুক্ত করতে গিয়েছে থানায় দাদাগিরি করার অভিযোগ। কাঠগড়ায় মগরাহাট পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। পুলিশ আধিকারিকদের ‘দু’টাকার চাকর’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। তৃণমূল বিধায়কের চোখরাঙানি বুড়ো আঙুল দেখালেন ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার এসডিপিও মিতুন দে। অভব্য আচরণ করায় থানার সিঁড়িতেই তৃণমূল বিধায়ককে বসিয়ে রাখলেন তিনি।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে , গত রবিবার উস্থি থানার ভোলেরহাটে বৃদ্ধা মাকে খুনের অভিযোগ ওঠে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জয়ন্ত চৌধুরী নামে আরও একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জয়ন্ত তৃণমূলের স্থানীয় নেতা। এ কথা শুনেই রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে থানায় পৌঁছন মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক। থানায় ঢুকে পুলিশ আধিকারিকদের ধমকাতে থাকেন তিনি। চলতে থাকে শাসানি। অভিযোগ, গিয়াসুদ্দিন পুলিশকে ‘দু’টাকার চাকর’ বলে গালিগালাজ করেন। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, গিয়াসুদ্দিনের সঙ্গে এ নিয়ে বচসায় জড়িয়ে পড়েছেন উপস্থিত পুলিশ আধিকারিকেরা।

তাঁকেও তৃণমূল বিধায়ক অপমান করতে শুরু করেন বলেও অভিযোগ। তৃণমূল বিধায়ককে কার্যত ধমক দেন এসডিপিও। থানায় ঢোকার সিঁড়িতেই বসে পড়েন বিধায়ক। এসডিপিও’র সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। কেন অভিযুক্তকে ছাড়াতে এত তৎপর, তৃণমূল বিধায়ককে প্রশ্ন করেন এসডিপিও মিতুন দে। তিনি আরও বলেন, “কথায় কথায় আপনি কেন পুলিশের উর্দি খুলে নেওয়া, বদলির হুমকি দেন?” পালটা বিধায়ক বলেন, “আমি ভদ্রঘরের ছেলে। কাউকে হুমকি দিই না।” গিয়াসউদ্দিন মোল্লাকে পুলিশকে “দু’টাকার চাকর” বলতেও শোনা গিয়েছে। বিধায়ক দাবি করেন তাঁকে পুলিশেরা ‘ক্রিমিনাল’ বলে কটাক্ষ করেছেন। যদিও এসডিপিও সে দাবি উড়িয়ে দেন। এসডিপিও বলেন, “কেউ আপনাকে ক্রিমিনাল বলেনি। তবে অপরাধীকে সমর্থন করে ছাড়াতে আসাও সমান অপরাধ।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *