Bangla24x7 Desk : ক্রমশ ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। কালীপুজোয় প্রবল দুর্যোগের আশঙ্কা। কীভাবে মোকাবিলা করা হবে পরিস্থিতি? রূপরেখা তৈরি করতে শুক্রবার সমস্ত দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক সারলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। শুক্রবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে নবান্নে সব দপ্তরের সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেখানে ছিলেন দক্ষিণের জেলাগুলির জেলা শাসক ও পুলিশ সুপাররা।
এখনও জানা যায়নি, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের গতিবেগ কত হবে, ঠিক কোথায় আছড়ে পড়বে। তবে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করে সেই মতোই এদিনের বৈঠকে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে কীভাবে মোকাবিলা করা হবে পরিস্থিতি। জানা গিয়েছে , ২০ টি এসডিআরএফ ও ১৫ টি এনডিআরএফ দলকে দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী এলাকায় মাইকিং শুরু করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। এর পাশাপাশি বিপজ্জনক এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও খবর। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর , ২২ অক্টোবর শনিবার পূর্ব-মধ্য এবং সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। ২৪ অক্টোবর সোমবার কালীপুজোর দিন পশ্চিম-মধ্য এবং সংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে গভীর এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
২৩ অক্টোবর রবিবার অর্থাৎ কালীপুজোর ঠিক আগের দিন এই নিম্নচাপ পরিণত হতে পারে গভীর নিম্নচাপে। বইতে পারে দমকা হাওয়া। রবিবার থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। আগামী ২৪ ও ২৫ অক্টোবর দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। বৃষ্টি হবে পূর্ব মেদিনীপুরের বেশ কিছু এলাকাতে।