Bangla24x7 Desk : অভিষেক নিজে এলাকায় এসেছেন বলে কথা। বৈঠক শেষে একবার সাংসদের দেখা পেতে আমতলার দলীয় কার্যালয়ের বাইরে তখন জনজোয়ার। আট থেকে আশি ভিড় জমিয়েছেন প্রত্যেকেই। অভিষেককে শুভেচ্ছা জানাতে ভিড়ের মধ্যেই হাজির একটি বাচ্চা মেয়েও। তার চোখের সমস্যা। একটি চোখ ঢাকা। এমন অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে অভিষেক নিজেই যাচ্ছিলেন। বাচ্চাটিকে দেখেই এগিয়ে যান তিনি। তার কী চিকিৎসা চলছে , চোখ কেমন আছে, কতটা দেখতে পাচ্ছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সন্দিগ্ধ হয়ে শেষে নিজেই বাচ্চাটির দায়িত্ব নেন অভিষেক। তবে এই প্রথমবার নয়, এর আগেও এক সদ্যোজাতর চিকিৎসার বন্দোবস্ত করে দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জনপ্রতিনিধির মানবিক ভূমিকায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি প্রায় সকলেই।
সকলকে নিয়ে একেবারে খোলামেলা আড্ডায় মাতেন অভিষেক। সাগর থেকে বুড়িগঙ্গার ড্রেজিংয়ের কাজ দেখে এদিন এই পথেই ফিরছিলেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। এই ঘরোয়া আড্ডায় যোগ দেন তিনি। যার ফাঁকেই পার্থর কাছে দু’টি বিষয়ের খোঁজ নেন অভিষেক। এক, গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতিতে বুড়িগঙ্গার ড্রেজিং কতদূর এগোল। পার্থর রিপোর্ট অনুযায়ী , এবার ভাটার সময়ও সেখানে লঞ্চ চলাচলে কোনও সমস্যা হবে না। ড্রেজিং চলছে দ্রুত গতিতে। দুই, আগামী ২৫ নভেম্বর উত্তরবঙ্গ যাচ্ছেন সেচমন্ত্রী। জলপাইগুড়ির জন্য ৩টি ও আলিপুরদুয়ারের জন্য ১ টি জলপ্রকল্পের প্রয়োজনীয়তার কথা অভিষেক আগেই বলেছিলেন। ২৫ তারিখ তারই উদ্বোধন। এই দু’টি বিষয়েই অভিষেক বিস্তারিত জানতে চান।
দলের বিজয়া সম্মেলন শেষে টানা এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে শুক্রবার চলে অভিষেকের ঘরোয়া আড্ডা। নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিকের সঙ্গে কথায় কথায় নৈহাটির বড়মার প্রসঙ্গ ওঠে। পার্থর হাতেই এবার বড়মার কাছে পুজো পাঠিয়েছিলেন অভিষেক। বজবজের বিধায়ক অশোক দেব রঙিন মেজাজের। সে প্রসঙ্গও রসিকতার ঢঙে চলে আসে আড্ডায়। চোখের সমস্যায় অস্ত্রোপচার করিয়ে কালীপুজোর দিন আমেরিকা থেকে কলকাতায় ফেরেন। সদ্যই দলীয় কাজ শুরু করেছেন। নিজের সংসদীয় এলাকা আমতলায় উৎসবের শুভেচ্ছা বিনিময়ের অনুষ্ঠানে অংশ নেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠান শেষে সাংসদের মানবিক মুখের সাক্ষী রইলেন স্থানীয়রা।