Bangla24x7 Desk : ছলছল চোখে কান্না ধরা গলায় ধনকড় বললেন, ‘আমাকে নয় রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের আসনকে অপমান করছেন বিরোধীরা। বোঝানো হচ্ছে যেন আমি এই আসনের যোগ্য নই।’ কার্যত একরাশ অভিমান নিয়ে কোনওমতে নিজের বক্তব্য রেখে চেয়ার ছেড়ে উঠে গেলেন দেশের উপরাষ্ট্রপতি। অভিমানের স্বরে ধনকড় বলেন, “প্রবিত্র রাজ্যসভায় অরাজকতার তৈরি, গণতন্ত্রের উপর কুঠারাঘাত, চেয়ারম্যানের আসনকে ধুলোয় মিশিয়ে, তাঁকে চ্যালেঞ্জ ছোড়া শুধু আসনকে অমর্যাদা নয়, এটা সব সীমাকে লঙ্ঘন করার মতো। এই ভবন দেশের শাসকদলের এবং বিরোধী দলের সভাপতিকে দেখছে রাজ্যসভার দলনেতা হিসেবে। তবে সংসদের অন্দরে ও বাইরে সাম্প্রতিক সময়ে আমি যা দেখছি তা অত্যন্ত অপমানজনক।

সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিরোধী দলনেতা কীভাবে আমাকে অপমান করেছেন তা আমি দেখেছি। এটা শুধু আমাকে নয় এই চেয়ারকে অপমান করা হচ্ছে। ওদের বক্তব্য, যে ব্যক্তি এই আসনে বসেছেন তিনি যেন এর যোগ্য নন। সহযোগিতা যতটা প্রয়োজন ছিল তা আমি পাইনি। তবে আমি আমার চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখিনি।” কথা বলতে বলতে চোখে জল চলে আসে উপরাষ্ট্রপতির। প্যারিস অলিম্পিক থেকে বিতর্কিতভাবে ভিনেশ ফোগাটের বাদ পড়ার ঘটনায় সংসদে সরব হয়েছে বিরোধী শিবির।

নেপথ্যে গভীর ‘ষড়যন্ত্র’ থাকতে পারে অনুমান করে বিরোধীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে সংসদ। বৃহস্পতিবারও তার ব্যাতিক্রম ছিল না। পরিস্থিতি সামাল দিতে এদিন বার বার তাঁদের শান্ত হওয়ার আবেদন জানান জগদীপ ধনকড়। তাতে অবশ্য কোনও ফল হয়নি। পালটা ধনকড় বলেন, ‘মিস্টার জয়রাম হাসবেন না। আমি আপনাদের চরিত্র জানি। আমার কাছে একটাই বিকল্প। এখানে অনেক বরিষ্ঠ নেতৃত্ব রয়েছেন আমি তাঁদের সম্মান করি। ওনারা আমার চেয়ে রাজনীতি বেশি দেখেছেন। আমি আমার শপথ থেকে পালিয়ে যাচ্ছি না। তবে আজ যে ব্যবহার বিরোধীদের তরফে করা হচ্ছে তাতে কিছু সময়ের জন্য হলেও আমি এই আসনে বসার শক্তি পাচ্ছি না। অত্যন্ত দুঃখী মন নিয়ে আমি আপাতত এই আসন থেকে উঠে যেতে চাইছি।” বলেই চেয়ার ছাড়েন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *