Bangla24x7 Desk : ‘ঠুকরাকে মেরা পেয়ার….’ – জনপ্রিয় হিন্দি গানের বাস্তব রূপ দেখল রাজ্য। চাকরি পেয়ে স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ স্ত্রীর। এমনই ঘটনা নদীয়ায়। তবে কম যান না স্বামী। CBI এর সামনে হাঁড়ির খবর উগরে দিলেন হাঁড়ির খবর।
সূত্রের খবর , অভিযোগ , কল্যাণীর বাসিন্দা পাপিয়া মুখোপাধ্যায় ২০১৪ সালে ‘টেট’ পরীক্ষাই দেননি। জয়ন্তর বাবা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী দীননাথ বিশ্বাসের পেনশন অ্যাকাউণ্ট থেকে পেনশনের সাড়ে সাত লক্ষ টাকায় পেয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষিকার চাকরি , টাকা নিয়েছিলেন ‘সৎ রঞ্জন’ বোলে পরিচিত বাগদার চন্দন মণ্ডল – এমনই অভিযোগ কল্যাণীর বাসিন্দা জয়ন্ত বিশ্বাসের।
প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় এই সংক্রান্ত তথ্য বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে জমাও করা হয়েছে। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন নদিয়ার রাঘবপুর নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা পাপিয়া মুখোপাধ্যায়। কমিশনের নিয়ম মেনেই চাকরি পেয়েছেন তিনি। হঠাৎ করে জয়ন্ত বাবু কেন এমন অভিযোগ করছেন সেই বিষয়ে কার্যত সন্দিহান তিনি।
তবে নদীয়ার রাঘবপুর নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিদ্ধার্থশংকর ভট্টাচার্যের দাবি, “কে কী ভাবে চাকরি পেয়েছেন তা তো বলতে পারব না। উনি ৪–৫ ঘণ্টার জন্য স্কুলে আসেন। ক্লাস শেষ হলেই চলে যান। অত কথা তো হয় না। তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপারেও জানি না। প্রাথমিক নিয়োগে চাকরিপ্রার্থী মামলাকারী সৌমেন নন্দীর বয়ানে ২০১৭ সালে পাপিয়ার চাকরির কথা প্রকাশ্যে আসে। প্রাথমিকে টেট নিয়োগ দুর্নীতির মাঝে এই ঘটনা ঘিরে সরগরম রাজ্য।