Bangla24x7 Desk : তিনি বিরোধী দলনেতা। সংগঠনের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে নেই। তবে তা সত্ত্বেও সমস্ত বিপদে কর্মীদের পাশে দাঁড়ান, সেকথাও এদিন বলেন তিনি। বলেন, “আমার সংগঠন নিয়ে যা বলার ছিল সেটা দিল্লিতে বলে এসেছি সুনীল বনসলকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমি জানিয়ে এসেছি কীভাবে বাংলাকে বাঁচানো যায়।” লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে বিভিন্ন মহলে চলছে বিস্তর কাঁটাছেড়া। কোন ভুলে বাংলায় এতটা পিছিয়ে পড়ল পদ্মশিবির, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিভিন্ন মত। দলের নেতাদের মতামতও ভিন্ন। ফলাফল পর্যালোচনার জন্য বুধবার বিজেপির তরফে সায়েন্স সিটিতে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী , সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ-সহ বঙ্গ বিজেপির অন্যান্য নেতারা। সেখানেই বিজেপির পরাজয়ের দায় ইঙ্গিতে সংগঠনের দায়িত্বে থাকা নেতা অর্থাৎ সুকান্তর দিকে ঠেলে দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু।
পাশাপাশি রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি। জানালেন কীভাবে প্রতিমুহূর্তে নির্যাতিত কর্মীদের পাশে দাঁড়ান তিনি। তবে এবার শুভেন্দুর নিশানায় কি সুকান্ত? শুরু চর্চা। এদিনের সভায় সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বিজেপি বাংলা থেকে হারিয়ে যায়নি।” মাটি ফেরানোর লড়াইয়ের ডাকও দিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ৩০-৩৫টি আসন টার্গেট নিয়েছিল বিজেপি। এক্সিট পোলের হিসাবও খানিকটা তাই বলেছিল। কিন্তু ৪ জুনের রেজাল্ট পুরো উল্টে গেল। মাত্র ১২টি আসন পেয়েছে পদ্ম শিবির। বিজেপির ফল, দিলীপ ঘোষের পরাজয়ের কারণ নিয়ে বিজেপি অন্দরেই দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। দলের মধ্যে কাঠিবাজির অভিযোগ তুলেছিলেন খোদ দিলীপ। ভোটের ঠিক প্রাক লগ্নেই আসন বদলই হারের মুখ্য কারণ হিসাবে বিজেপি অন্দরে একটি তত্ত্ব খাঁড়া করা হয়েছিল। দিলীপের পক্ষে সওয়াল করে ‘কাঠিবাজি’র তত্ত্ব খাঁড়া করেছিলেন সুকান্ত মজুমদারও। কিন্তু ‘কাঠি’ করলেন কে? তা নিয়েই দল অন্দরে তৈরি হয়েছিল চরম জল্পনা।