Bangla24x7 Desk : “আমি চাই , অপরাধীরাও আমার মতো ঘুমহারা হোক” – কাতর আর্জি আর জি করের নির্যাতিতার মায়ের। এদিন নির্যাতিতার বাবা একাধিক প্রশ্ন তোলেন। তাঁর প্রশ্ন, “ময়নাতদন্ত করতে কেন দেরি করা হল ? কেন অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু করা হল ? কারা বিনামূল্যে দেহ দাহর ব্যবস্থা করল ? ময়নাতদন্তের আগে কেন বলা হল আত্মহত্যা করেছে ? আমাদের উত্তর কে দেবে পুলিশ নাকি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ?” পুলিশের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন তিনি। নির্যাতিতার বাবার দাবি, পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁদের টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় মিথ্যা কথা বলছেন বলেও অভিযোগ তাঁর। শুধু বাবা-মা-ই নন। নির্যাতিতার কাকিমাও এদিন ক্ষোভ উগরে দেন। 

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি ছিল। তার আগের রাতে এক ঘণ্টা আলো নিভিয়ে অভিনব প্রতিবাদের ডাক দেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের ডাকে সাড়া দিয়ে এদিন রাত ৯টায় আলো নিভিয়ে দেওয়া হয় রাজভবনে। আঁধারে ঢাকে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বর সহ শহরের প্রায় বিভিন্ন প্রান্ত। মাসখানেক হতে চলেছে একমাত্র সন্তানকে হারিয়েছেন তিনি। মেয়ের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে সঞ্জয় রায় ছাড়া এখনও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ। সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। সুপ্রিম কোর্টে শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় বাড়ছে হতাশা। এই পরিস্থিতিতে সুবিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি নির্যাতিতার বাবা-মায়ের। উল্লেখ্য , গত ৮ ই আগস্ট, নাইট শিফট ছিল তরুণী চিকিৎসকের। পরদিন সকালে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ , ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। তদন্তভার নেওয়ার পর পুলিশের কাছ থেকে সিবিআই সঞ্জয়কে হেফাজতে নেয়। 

গতকাল রাত দখলের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে আরজি করে উপস্থিত হয়েছিলেন তিলোত্তমার মা-বাবা। তিলোত্তমার মা দাঁতে দাঁত চেপে বলেন, “সেই রাতে আমার মেয়ের চিৎকার, মা মা করে হয়ত কত কেঁদেছিল। আমি শুনতে পাইনি।” এরপর খানিকটা শক্ত হয়ে বললেন, “যাঁরা আমার মেয়ের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটিয়েছে, আমি চাই তাঁরাও ঘুম হারা হোক। তাঁরাও যেন আমার মতো প্রতিনিয়ত এই কষ্টটা পায়।” তাঁর আর্জি সমাজের সকল মানুষের কাছে, “আমরা যতদিন না বিচার পাই আপনারা পাশে থাকুন। আন্দোলনকারীদের ‘সন্তানসম’ বলে অনেক আশীর্বাদ করলেন তিলোত্তমার মা-বাবা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *