Bangla24x7 Desk : সাদামাঠা গৃহবধূর বেশে দুর্ধর্ষ ‘ডাকাত রাণী’ ! ডোমজুড়ে সোনার দোকানে লুটে গ্রেপ্তার বিহারের ‘চাচি’। ডোমজুড় ডাকাতির ঘটনায় নাম জড়িয়েছে আশাদেবী ওরফে ‘চাচী’র। বিহারের সমস্তিপুর থেকে আনা হয়েছে তাঁকে। তবে ওই ডাকাতির আগে আসানসোলে তিনমাস বাড়ি ভাড়া নিয়ে ছিল এই চাচী। তাঁর পরিচয় জেনে স্তম্ভিত পুলিশ। আসানসোলের হীরাপুর থানা এলাকার মহিশীলা ৩ নম্বর কলোনির চাষি পাড়ার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতো হাওড়ার ডোমজুড় ডাকাতি কাণ্ডে ধৃত ওই মহিলা। চারদিকে জমি আর সবজি ক্ষেত। লোকালয় থেকে দূরে কার্যত পাণ্ডব-বর্জিত এলাকায় ওই বাড়িটি। খবর পাওয়ার পর অবাক বাড়ির মালিক ঋষিকেশ সাহা। চাচী ডাকাত সর্দার জানার পর আতঙ্কিত ঋষিকেশ।
অবশেষে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিহার থেকে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতরা হল চাচি ওরফে আশা দেবী (৪৯), রবীন্দ্র সাহানি (৪৬), বিকাশ কুমার ঝা (৩০), অলোক কুমার পাঠক (৩৩) এবং মণীশ কুমার মাহাতো (২৪)। হাওড়া জেলা হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর আদালতে তোলা হয়েছে তাকে। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ‘চাচি’কে জেরা করতে চান তদন্তকারীরা। বাড়ির মালিক ঋষিকেশ সাহা জানান, গত তিনমাস ধরে মহিলা ভাড়া বাড়িতে ছিলেন। ওই মহিলার সঙ্গে আরও কয়েকজনও ছিল। তিনমাস ওঁরা ভাড়া ছিলেন। পাথর লোডিং আনলোডিংয়ের কাজ করতে এসেছে বলে জানিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, ব্যবসা তাঁরা আরও বাড়াবেন। একটা ট্রাক্টর কেনা হবে। এলাকায় চাষবাস করা হবে।
গত ১১ জুন ডোমজুড়ের একটি সোনার গয়নার দোকানে ৬ দুষ্কৃতী ঢুকে দোকানের মালিক ও কর্মচারীদের হাত-পা সেলোটেপ দিয়ে বেঁধে ফেলে। বন্দুকের বাঁট দিয়ে তাঁদের মাথায় মেরে প্রায় আধঘন্টা ধরে অপারেশন চলে। দোকানের যাবতীয় সোনার গয়না লুট করে তারা। বেলা ১২ টা নাগাদ ঘটা এই ঘটনার পুরো ভিডিও ধরা পড়ে সিসিটিভি ফুটেজে। তদন্তে নামেন হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা। তদন্তে নেমেই তাঁরা বুঝতে পারেন ভিনরাজ্যের কেউ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত।