Bangla24x7 Desk : আন্দোলনের মঞ্চে বিজেপি নেত্রী পামেলা – জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিবাদ আদৌ ‘অরাজনৈতিক’ ? প্রশ্ন উঠেছে, কাদের ‘কুমন্ত্রণা’য় এগিয়ে এসেও ফের পিছিয়ে গেলেন জুনিয়র ডাক্তাররা? ডাক্তারদের আন্দোলনের পিছনে রাজনৈতিক শক্তির অস্তিত্ব স্পষ্ট বলে ফের অভিযোগ করেছে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ডাক্তারদের অবস্থানে বিজেপি ও সিপিএম নেতা-নেত্রীদের ঘোরাঘুরি থেকে নেপথ্যের রাজনৈতিক শক্তিকে বুঝতে কোনও সমস্যা হচ্ছে না বলে অভিমত রাজনৈতিক মহলের। প্রশ্ন উঠেছে, কাদের ‘কুমন্ত্রণা’য় এগিয়ে এসেও পিছিয়ে গেলেন জুনিয়র ডাক্তাররা ?
বুধবার কোকেন কাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া বিজেপি নেত্রী তথা প্রাক্তন মডেল পামেলা গোস্বামীকে দেখা গিয়েছে অবস্থানে ডাক্তারদের মধ্যে বিস্কুট-চকোলেট ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্য বিলি করতে। পামেলা বিজেপি যুবমোর্চার সাধারণ সম্পাদক। ২০১৯ সালে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। ২০২১ সালে তাঁকে কোকেন পাচারের অভিযোগে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ধর্মতলার বিজেপির ধরনা মঞ্চ ছেড়ে বুধবার পামেলা হাজির হয়েছিলেন স্বাস্থ্যভবনের সামনে ডাক্তারদের অবস্থানে। পামেলা চক্রবর্তীর উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের মিডিয়া কমিটির সদস্য কুণাল ঘোষ। এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল ঘোষ লিখেছেন, ‘বিজেপি নেত্রী, একদা মাদক কান্ডে ধৃত পামেলা গোস্বামী গিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে, সাহায্যও করেছেন। অরাজনৈতিক !!!’।
বুধবার সকালেই অবস্থান মঞ্চে দেখা গিয়েছে লরি ভর্তি মিনারেল ওয়াটার ও চকোলেট-বিস্কুটের মতো শুকনো খাবার ব্লিঙ্কিট, সুইগি, জোম্যাটোর ডেলিভারি বয়দের। কারা এই খাবার পাঠিয়েছে সেই প্রশ্নের উত্তরে ডেলিভারি বয়রা জানিয়েছেন, তাঁদের শুধু বলা হয়েছে এগুলি অবস্থান মঞ্চে পৌঁছে দিতে। শুধু খাবার নয়, ফেসবুকে চাওয়া মাত্র গাদা গাদা পেডেস্টাল ফ্যান, বায়ো টয়লেট পৌঁছে গিয়েছে অবস্থান মঞ্চে। কাদের টাকায় এইসব হচ্ছে সেই প্রশ্ন ঘুরছে রাজ্যের চিকিৎসক ও রোগীর পরিবারের মধ্যে। পামেলার খাবার বণ্টনের ছবি থেকে অনেকেই বলছেন এইসব যোগান দিচ্ছে বিজেপি। যাদবপুরের সল্টলেক ক্যাম্পাস থেকে রান্না করা খাবার সরবরাহের পিছনে অনেকে এসএফআই ও সিপিএমের ছায়া দেখছে। মুখ্যসচিব ১২/১৫ জন বললেও কেন ৩০ জন প্রতিনিধি চাইছেন ? তাই পারস্পরিক অবিশ্বাস থেকেই ৩০ জন নবান্নে যেতে চাওয়া ? এটা কার পরিকল্পনা ? রাজ্য সরকার গরিব মানুষের স্বার্থে, সাধারণ রোগীদের কথা মাথায় রেখে আলোচনার দরজা খুলে রাখলেও একটি স্বার্থান্বেষী মহল যে তাদের নিজস্ব অঙ্কেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ভেস্তে দিতে চাইছে তা স্পষ্ট।