Bangla24x7 Desk : মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানতে কড়া দাওয়াই , ১০ দিনের মধ্যে কমাতে হবে দাম , গাইডলাইন দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বাজারে বেশি দামে সবজি বিক্রি আটকাতে টাস্কফোর্সকে আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিলেন তিনি। যত দিন না দাম কমছে ততদিন বাজারে নিয়মিত নজরদারি চালাবে টাস্কফোর্সের সদস্যরা। নজর রাখবে পুলিশও। একইসঙ্গে নিয়মিত বৈঠকে বসতে হবে তাঁদের। থাকবেন মুখ্য সচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি। প্রতি সপ্তাহে সেই রিপোর্ট দিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। এর পরই তাঁর নির্দেশ, “১০ দিনের মধ্যে দাম কমাতেই হবে।” উদাহরণ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যেমন ধরুন পাঁঠা বেশি বিক্রি করবে বলে মুরগির রোগ হয়েছে রটিয়ে দেওয়া হয়। ফলে লোকে ভয়ে মুরগি খায় না। এরপর পাঁঠার দাম বেড়ে যায়। আবার মুরগির ক্ষেত্রেও এক করে। এটা বড় চক্র কাজ করে। চোখে দেখা যায় না। বড় ব্যবসায়ীরা কোল্ড স্টোরেজে আটকে রাখে। ৪৫ লক্ষ মেট্রিক টন আলু কোল্ড স্টোরেজে পড়ে আছে। অল্প অল্প বাজারে ছাড়ুন।”
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, কোল্ড স্টোরেজে অতিরিক্ত আলু মজুত রাখা চলবে না। নাসিকের বদলে রাজ্যের চাষিদের কাছ থেকে কিনতে হবে পিঁয়াজ। রাজ্যের চাহিদা না মিটিয়ে ভিনদেশে পাঠানো যাবে না সবজি। প্রয়োজনে বর্ডারে চেকিং চলবে। বাজারে সিআইডি, পুলিশ, আইবির নজরদারির নির্দেশ। নজরদারি চালাতে গিয়ে তোলাবাজি করলে অ্যাকশন নেওয়ার হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর। ধানের মতো চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি সবজি কেনার পক্ষেও সওয়াল মমতার। প্রয়োজনে মাল্টিপারপাস কোল্ড স্টোরেজ তৈরির পরামর্শ দিলেন তিনি। পেঁয়াজ, লঙ্কা, টমেটো যাতেই হাত দেবেন তাতেই ছেঁকা। কারণ বাজারের যেন আগুন ছুটছে দামের। আর তা নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ স্টেক হোল্ডার সহ রাজ্যের বিভিন্ন মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন তিনি। কেন দাম বাড়ছে জানতে চান। সঙ্গে দাম কমানোর উপায়ও বাতলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, এক শ্রেণির মানুষ অধিক মুনাফা লাভের আশায় হিমঘরে সবজি আটকে রাখে। আর তার ফল ভোগ করতে হয় সাধারণ মানুষকে। এদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতেও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।