Bangla24X7 Desk : সিবিআই দপ্তর থেকে বেরিয়ে কার্যত মেজাজ হারালেন ‘কালীঘাটের কাকু’। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র কি কয়লা পাচারের সঙ্গেও যুক্ত, সাংবাদিকরা এই প্রশ্ন করতেই অসন্তুষ্ট হন তিনি। বলেন, “হ্যাঁ, আমি সবকিছুর সঙ্গে যুক্ত। তদন্তকারীদের যা বলার বলেছি। আপনাদের কিছু বলব না।” কালীঘাটের কাকু আরও জানান, “সিবিআই আমাকে ডাকেনি। আমার স্ত্রীর হাত পুড়ে গিয়েছে। তাই ও সমনে স্বাক্ষর করতে পারেনি। চিরকুটে লিখে দিয়েছিল।” সাংবাদিকরা জানতে চান, আপনি কি কয়লা পাচারের সঙ্গে যুক্ত? আপনি যে প্রোমোটিং করেন, তার টাকা কোথা থেকে আসে ? এরপরই মেজাজ হারিয়ে সুজয়কৃষ্ণের সপাট জবাব, “আমি সবকিছুর সঙ্গে যুক্ত। যান, তদন্তকারীদের কাছ থেকে জেনে নিন।”
মঙ্গলবার রাতে সিবিআই নোটিস পাঠায় ‘কালীঘাটের কাকু’কে। এদিন সকাল ১১টা নাগাদ নিজাম প্যালেসে ঢোকেন তিনি। টানা প্রায় ৩ ঘণ্টা সিবিআই জেরার পর দপ্তর থেকে বের হন। নিজাম প্যালেসের বাইরে আসতেই তাঁকে ছেঁকে ধরেন সাংবাদিকরা। একের পর এক প্রশ্নবাণে জর্জ্জরিত হন তিনি। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত অনেকের মুখেই শোনা গিয়েছিল ‘কালীঘাটের কাকু’র নাম। তাঁরা দাবি করেছিলেন, কুন্তলের সঙ্গে যোগ ছিল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের। কিন্তু কুন্তলের দাবি, “কাকু বলতে আমি আমার বাবার ভাইকে বুঝি। কালীঘাটের কাকুকে চিনি না।” এদিকে ধৃত তাপস মণ্ডলের দাবি, “কালীঘাটের কাকু সম্পর্কে সব জানে কুন্তল। আমি কিছু জানি না। ওকে জিজ্ঞেস করুন।” সবমিলিয়ে ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল।