Bangla24x7 Desk : ৫২ টি আসন বিশিষ্ট বিলাসবহুল বাসে রঙিন আলোর সমাহার, মিউজিক সিস্টেম থাকছে। বাসটি নিউ দিঘা ও ওল্ড দিঘা থেকে যাত্রীদের নিয়ে ন্যায়কালী মন্দিরে পৌঁছবে। পুজোর আগেই দিঘায় ন্যায়কালী মন্দিরের কাছে চম্পাখালে প্রমোদতরী চালু হতে চলেছে। সেই প্রমোদতরীতে যাওয়ার জন্য আলোকসজ্জায় মোড়া সুসজ্জিত ডবল ডেকার বাস এসে গিয়েছে সৈকত শহরে। ইতিমধ্যেই বাসটি পুরো দিঘা শহরে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়েছে। দুটি ডেকে সর্বাধিক ৮০ জন পর্যটক নির্দিষ্ট আসনে বসতে পারবেন। এলইডি স্ক্রিনে দিঘার উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরা হবে। জলযানটি দিঘা, শঙ্করপুর সহ আশপাশের সমুদ্রবক্ষ ছাড়াও খাঁড়ি এলাকা গুলিতেও ঘুরবে।
ঠিকাদার সংস্থার পক্ষে প্রদীপ দাস বলেন, “প্রমোদ তরী চালানোর জন্যে পরিকাঠামো তৈরির কাজ জোরকদমে চলছে। দিঘা থেকে যাত্রীদের নিয়ে যাওয়ার জন্যে ডবল ডেকার বাস এসে গিয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি পুজোর সময় পর্যটকদের সমুদ্র ভ্রমণে নিয়ে যাওয়ার জন্যে।” দিঘার পূর্ব মুকুন্দপুরের ন্যায়কালী মন্দিরের সামনে চম্পা খালে নোঙর করে রাখা এই জলযানটি চালু করার জন্য পরিকাঠামোর অভাব ছিল। জেটি পর্যন্ত যাওয়ার মাটির রাস্তা নষ্ট হয়ে যায়। পাশাপাশি ছিল না গ্যাংওয়ে ও পল্টুন জেটি। এজন্য ক্রুজটি চালানোর উদ্যোগ শুরুতেই ধাক্কা খায়। সম্প্রতি প্রমোদতরী পর্যন্ত যাতায়াতের জন্যে পল্টুন জেটি ও গ্যাংওয়ে তৈরি হয়েছে। তৈরি হয়েছে মোরামের রাস্তা থেকে জেটি পর্যন্ত লম্বা কাঠের ব্রিজ। এক ঘণ্টার জন্য ভ্রমণের ব্যবস্থা থাকবে। প্রাথমিকভাবে প্রত্যেক দিন দুটি করে সফর নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
উন্নয়ন পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাথাপিছু কত ভাড়া হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে স্পট ও অনলাইন দুধরনের বুকিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। প্রয়োজনে ছোটখাটো অনুষ্ঠান, পার্টির জন্যও ভাড়া করা যাবে। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বাস নিত্যযাত্রীদের জন্য নয়। প্রমোদতরীতে যে সমস্ত পর্যটক উঠবেন, তাঁদের নিয়ে যাতায়াতের জন্য বাসটি চালু হচ্ছে। দিঘা কিংবা অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্র থেকে পর্যটকরা যাতে প্রমোদতরীর কাছে আসতে পারেন, তার জন্য ‘ডবল ডেকার’ বাসও এসে পৌঁছেছে পর্যটন শহরে। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের তত্ত্বাবধানে একটি ঠিকাদার সংস্থা পুরো পরিকল্পনা রূপায়ণ করেছে।