Bangla24x7 Desk : Jaynagar : অগ্নিমিত্রার সাথে বাক-বিতণ্ডায় তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল , মৃত নাবালিকার দেহ সংরক্ষণের দাবি BJP বিধায়িকার। পুলিশ ফাঁড়িতে ভাঙচুর করা হয়। একের পর রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা ঘটনাস্থলে যান। পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালের সামনে পৌঁছন জয়নগরের তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল। সেই সময় সেখানে ছিলেন আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তৃণমূল সাংসদকে তিনি বলেন, “আপনি এখানকার সাংসদ। আপনাকে জবাব দিতে হবে। বাবা-মা বারবার থানায় যাওয়ার পরও কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। কেন?” তৃণমূল সাংসদ বলেন, “আমি একটু মৃতের বাবা-মার সঙ্গে কথা বলতে চাই।” বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল তখন তৃণমূল সাংসদকে বলেন, “আমরা চাই ওই নাবালিকার মৃতদেহ সংরক্ষণ করা হোক। কোনও নিরপেক্ষ হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত করা হোক।” তখন তৃণমূল সাংসদ বলেন, “আপনি কী চাইছেন, সেটা বড় কথা নয়। ওই নাবালিকার বাবা-মা কী চাইছেন, সেটা জানা দরকার। কারণ, পরে বাবা-মা হয়তো বলবেন, আমরা এটা চাইনি।”
নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে উত্তপ্ত জয়নগর। বাড়ছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও। তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান উঠল। হাসপাতালের সামনে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের সঙ্গে তর্কে জড়ান তৃণমূল সাংসদ। মৃত নাবালিকার দেহ সংরক্ষণ করে ফের ময়নাতদন্তের দাবি জানান বিজেপি বিধায়ক। আবার পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ বাম নেতৃত্ব। এদিন, ওই হাসপাতাল চত্বরে পৌঁছে যান বাম নেত্রী মীনাক্ষা মুখোপাধ্যায়, কনীনিকা ঘোষরা। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। চতুর্থ শ্রেণির ওই পড়ুয়া গতকাল টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানাতে গেলে গুরুত্ব দেয়নি পুলিশ। পাঠানো হয় জয়নগর থানায়।
Jaynagar : অগ্নিমিত্রার সাথে বাক-বিতণ্ডায় তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল , মৃত নাবালিকার দেহ সংরক্ষণের দাবি BJP বিধায়িকার
Read More : Ranaveer Singh : ১৯ শের নায়িকার সাথে পর্দায় রোম্যান্স ৩৯ এর রণবীরের ! ‘ছিঃ ছিঃ করছেন নায়কের অনুগামীরাই
পরে গভীর রাতে নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতারির পর জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত। তবে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেনি। এই বিক্ষোভকারীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল বিধায়ক গণেশ চন্দ্র মণ্ডল। সেইসময় তাঁকে ঘিরে ধরে স্থানীয় বাসিন্দারা মারধর করে বলে দাবি। সেই সময় সেখান থেকে চলে যান বিধায়ক। দেহ উদ্ধার করে পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেও আমজনতা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।